রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি :
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে জেলা সদরের ভেল্লাবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা। এই রাস্তাটি এখন গালার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছয়টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা হয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বারবার ভোগান্তির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও মেলেনি সমাধান। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পাঁকাকরণের দাবি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীসহ স্থানীয়দের।
জানা গেছে, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে জেলা সদরের ভেল্লাবাড়িয়া সড়ক। এই সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা যেন গলার কাটা ৬টি গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের। কাঁচা সড়কের এমন দশায় সবচেয়ে বিড়ম্বনায় বয়স্ক, শিশু, নারীসহ স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি বাড়ে কয়েক গুণ। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগকে সঙ্গী করে চলাচল করছেন আশপাশের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
কয়েকজন পথচারী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়ে কৃষক ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টির সময় টাকা দিলেও মেলে না পরিবহন। রোগীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। সরকারের কাছে দবি এই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দিক। এতে জনগণের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হবে।
কয়েকজন ভ্যানচালক বলেন, ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে ভেল্লাবাড়ি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা কাঁদাপানিতে জর্জরিত। আমরা ভ্যানে করে ধান,পাট, পেঁয়াজ শহরে নিয়ে যেতে পারি না। আমাদের চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। কাঁদার মধ্যে চাকা দেবে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়কটি তিনটি উপজেলার মধ্যে থাকার কারণে কেউ দায় নিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেন, এই রাস্তাটি তিনটি উপজেলার সীমানার মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় কেউ দায় নিচ্ছে না। তবে বেশিরভাগ অংশ বালিয়াকান্দি উপজেলার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু অদ্যবধি এই রাস্তার সংস্কারের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ হোসেন বলেন, আগামীতে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প এলে তখন এই রাস্তা অগ্রাধিকার দিয়ে পাকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে।