Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ট্রেন আটকে স্টপেজের দাবি

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপেস ট্রেন রাজবাড়ীর খানখানাপুর স্টেশনে স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় তারা রেললাইন অবরোধ করে অন্তত ১০ মিনিট ট্রেন আটকে রাখেন।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খানখানাপুর রেলওয়ে স্টেশনে খানখানাপুর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, খানখানাপুর ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজশাহী থেকে এসে ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি যাত্রা বিরতি দিয়ে ১১টা ৫ মিনিটে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ খানখানাপুরে এসে পৌঁছালে ১০ মিনিট আটকে রাখেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরহাদ নান্নু, সহ সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নব কুমার দত্ত, ঢাকাস্থ খানখানাপুর সমিতির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ী পরিষদের রাকিবুল হাসান বাদশা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান ফারুক সহ পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধুমতি এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে খানখানাপুর স্টেশনে পৌছালে মানববন্ধনকারীরা ট্রেন আটকে রাখেন । ১০ মিনিট পর ১৫ দিনের আল্টিমেটাম ট্রেনটি ছেড়ে দেয় মানববন্ধনকারীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খানখানাপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এখান থেকে বহু যাত্রী বিভিন্ন কাজে ঢাকায় যাতায়াত করেন। এজন্য এখানে মধুমতি ট্রেনের স্টপেজ প্রয়োজন।

তাদের দাবি, খানখানাপুর ও গোয়ালন্দসহ আশপাশের এলাকার মানুষের সুবিধার স্বার্থে খানখানাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিতে হবে। রেল কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা। এর পরেও যদি মধ্যে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন খানখানাপুর রেল স্টেশনে স্টপেজ না দেয় তাহলে বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দেন তারা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তথ্যমতে, মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছাড়ে সকাল ৭টায়। গোয়ালন্দ ঘাট পৌঁছায় দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে। গোয়ালন্দ ঘাট থেকে ছাড়ে বিকাল ৩ টায়, রাজশাহী পৌঁছায় রাত ৮ টা ২৫ মিনিটে। পথে ঈশ্বরদী, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালি, খোকশা, পাংশা, কালুখালী ও রাজবাড়ী স্টেশনে বিরতি দেয়। সেখান পাঁচুরিয়ায় যাত্রা বিরতি দিয়ে খানখানাপুর স্টেশন হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। তবে খানখানাপুর স্টেশনে যাত্রা বিরতি নেই।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার জানান, রাজবাড়ী হয়ে এখন ঢাকায় চারটি ট্রেন চলাচল করছে। মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজবাড়ীর পাঁচুরিয়া জংশন স্টেশনের পর ফরিদপুরের আমিরাবাদ স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়। এর মাঝে রয়েছে রাজবাড়ীর খানখানাপুর স্টেশন। তবে সেখানে নকিশকাথা মেইল ট্রেনের যাত্রা বিরতি হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

রাজবাড়ীতে ট্রেন আটকে স্টপেজের দাবি

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপেস ট্রেন রাজবাড়ীর খানখানাপুর স্টেশনে স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় তারা রেললাইন অবরোধ করে অন্তত ১০ মিনিট ট্রেন আটকে রাখেন।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খানখানাপুর রেলওয়ে স্টেশনে খানখানাপুর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, খানখানাপুর ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজশাহী থেকে এসে ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি যাত্রা বিরতি দিয়ে ১১টা ৫ মিনিটে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ খানখানাপুরে এসে পৌঁছালে ১০ মিনিট আটকে রাখেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরহাদ নান্নু, সহ সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নব কুমার দত্ত, ঢাকাস্থ খানখানাপুর সমিতির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ী পরিষদের রাকিবুল হাসান বাদশা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান ফারুক সহ পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধুমতি এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে খানখানাপুর স্টেশনে পৌছালে মানববন্ধনকারীরা ট্রেন আটকে রাখেন । ১০ মিনিট পর ১৫ দিনের আল্টিমেটাম ট্রেনটি ছেড়ে দেয় মানববন্ধনকারীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খানখানাপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এখান থেকে বহু যাত্রী বিভিন্ন কাজে ঢাকায় যাতায়াত করেন। এজন্য এখানে মধুমতি ট্রেনের স্টপেজ প্রয়োজন।

তাদের দাবি, খানখানাপুর ও গোয়ালন্দসহ আশপাশের এলাকার মানুষের সুবিধার স্বার্থে খানখানাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিতে হবে। রেল কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা। এর পরেও যদি মধ্যে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন খানখানাপুর রেল স্টেশনে স্টপেজ না দেয় তাহলে বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দেন তারা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তথ্যমতে, মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছাড়ে সকাল ৭টায়। গোয়ালন্দ ঘাট পৌঁছায় দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে। গোয়ালন্দ ঘাট থেকে ছাড়ে বিকাল ৩ টায়, রাজশাহী পৌঁছায় রাত ৮ টা ২৫ মিনিটে। পথে ঈশ্বরদী, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালি, খোকশা, পাংশা, কালুখালী ও রাজবাড়ী স্টেশনে বিরতি দেয়। সেখান পাঁচুরিয়ায় যাত্রা বিরতি দিয়ে খানখানাপুর স্টেশন হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। তবে খানখানাপুর স্টেশনে যাত্রা বিরতি নেই।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার জানান, রাজবাড়ী হয়ে এখন ঢাকায় চারটি ট্রেন চলাচল করছে। মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজবাড়ীর পাঁচুরিয়া জংশন স্টেশনের পর ফরিদপুরের আমিরাবাদ স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়। এর মাঝে রয়েছে রাজবাড়ীর খানখানাপুর স্টেশন। তবে সেখানে নকিশকাথা মেইল ট্রেনের যাত্রা বিরতি হয়।