Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, কিন্তু আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না : তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, কিন্তু আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। আবার ক্ষমতায় এলে আগুনসন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান সড়কে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। বরং তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা তাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন- সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরীফ পোড়ায়, গাড়িঘোড়া ও স্কুলঘর পোড়ায়; ওরা কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়। ওরা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, তাদের অনুকরণে বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাজনীতির নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস দুনিয়ার কোনও জায়গায় হয়নি। আমরা যখন পাকিস্তান কিংবা পশ্চিমাদের অধীনে ছিলাম তখনও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে বহু মিছিল গেছে, এসেছে। এদেশের বায়ান্ন বছরের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন কিংবা জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা হয়নি। যেটি বিএনপি-জামায়াত করেছে। সুতরাং এরা দেশ-জাতি এবং সমাজের শত্রু। এরা হিংস্র হায়েনা ও জঘন্য জানোয়ারের চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আজ বাচ্চারা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে একটি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই বাচ্চারা কি অপরাধ করেছে? আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে- কেউ আগুন সন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এরকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দিবেন। তাহলে এদেরকে নির্মূল করা সম্ভবপর হবে।

গত ১৪ জুন বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ চলার সময় চট্টগ্রামের জামালখান মোড়ে সড়কের পাশে দেয়ালজুড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের আলোকচিত্র নিয়ে তৈরি গ্লাস ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। সেখানে আজ নতুন টাইলস ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।

ম্যুরাল ভাঙচুরের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কি অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, এই দেশ থেকে শেষ আগুনসন্ত্রাসী পর্যন্ত নির্মূল করা হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি আবারো অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে- এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুইদিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, কিন্তু আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, কিন্তু আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। আবার ক্ষমতায় এলে আগুনসন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান সড়কে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। বরং তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা তাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন- সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরীফ পোড়ায়, গাড়িঘোড়া ও স্কুলঘর পোড়ায়; ওরা কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়। ওরা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, তাদের অনুকরণে বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাজনীতির নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস দুনিয়ার কোনও জায়গায় হয়নি। আমরা যখন পাকিস্তান কিংবা পশ্চিমাদের অধীনে ছিলাম তখনও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে বহু মিছিল গেছে, এসেছে। এদেশের বায়ান্ন বছরের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন কিংবা জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা হয়নি। যেটি বিএনপি-জামায়াত করেছে। সুতরাং এরা দেশ-জাতি এবং সমাজের শত্রু। এরা হিংস্র হায়েনা ও জঘন্য জানোয়ারের চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আজ বাচ্চারা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে একটি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই বাচ্চারা কি অপরাধ করেছে? আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে- কেউ আগুন সন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এরকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দিবেন। তাহলে এদেরকে নির্মূল করা সম্ভবপর হবে।

গত ১৪ জুন বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ চলার সময় চট্টগ্রামের জামালখান মোড়ে সড়কের পাশে দেয়ালজুড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের আলোকচিত্র নিয়ে তৈরি গ্লাস ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। সেখানে আজ নতুন টাইলস ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।

ম্যুরাল ভাঙচুরের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কি অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, এই দেশ থেকে শেষ আগুনসন্ত্রাসী পর্যন্ত নির্মূল করা হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি আবারো অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে- এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুইদিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।