Dhaka মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।

নির্বাচনে যদি পুলিশ কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করেছি আমরা। কারো কোনোরকম নেগলিজেন্স থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আগে যেমন জিডি করে রাখা হতো শুধু কিন্তু এবার সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশের প্রতি কি নির্দেশনা থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের প্রতি আমার নির্দেশনা হচ্ছে নির্বাচন হতে হবে, ফ্রি ফেয়ার, ক্রেডিবল এবং উৎসবমুখর। পুলিশের কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যারা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪,২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।

নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছেন নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’

নিরাপত্তা ইস্যু কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ছোট-খাটো যে সমস্যা তা সমাধান করা হবে।

এছাড়া লুট হওয়া অস্ত্র কীভাবে দ্রুত উদ্ধার করা যায়, সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের পর কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গেল ১৪ মাসে ৪০ টির বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং বড় সংখ্যক মানুষ মবের শিকার হয়েছে-এ বিষয়ে নজরে এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী বা অন্য কোনো বাহিনীর মাধ্যমে কিংবা সিভিলিয়ান দ্বারা যে কোনো হত্যাকাণ্ড হোক না কেন, প্রত্যেকটি বিষয় আইনের আওতায় এবং আইনের মাধ্যমে ফয়সালা করা হবে।

উসকানিমূলক বক্তব্য কি দেশের বাইরে থেকে বেশি আসছে, নাকি দেশের ভেতর থেকে বেশি আসছে—কারা এসব বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, উসকানিমূলক বক্তব্য দেশের বাইরে থেকে বেশি আসে। দেশের ভেতরে যারা এই ধরনের কাজ করে, পুলিশ তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এ বক্তব্যগুলোর অনেক সময় সত্যতা থাকে না। কিন্তু সাংবাদিকদের বক্তব্য সত্য থাকে। সেজন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, উসকানিমূলক বক্তব্যগুলো সাংবাদিকরাই বেশি প্রতিহত করতে পারেন, যদি আপনারা সত্য সংবাদটি দেন। কোনো ধরনের সন্দেহ থাকলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করারও আহ্বান জানান জাহাঙ্গীর আলম।

যেসব অপরাধী বিদেশে আছে, তাদের দেশে প্রত্যর্পণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বড় বড় পদে থাকা কমিশনারদের মতো ব্যক্তি এবং অন্যান্য অপরাধীদের যারা বিদেশে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মিডিয়াকেও সোচ্চার হতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি এক্সট্রাডিশন ট্রিটি কার্যকর করার চেষ্টা চলছে।

আলাদা পুলিশ কমিশন কবে হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলাদা পুলিশ কমিশন গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে এর সুবিধা কী হবে, তা হওয়ার পরই জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।

নির্বাচনে যদি পুলিশ কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করেছি আমরা। কারো কোনোরকম নেগলিজেন্স থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আগে যেমন জিডি করে রাখা হতো শুধু কিন্তু এবার সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশের প্রতি কি নির্দেশনা থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের প্রতি আমার নির্দেশনা হচ্ছে নির্বাচন হতে হবে, ফ্রি ফেয়ার, ক্রেডিবল এবং উৎসবমুখর। পুলিশের কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যারা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪,২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।

নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছেন নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’

নিরাপত্তা ইস্যু কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ছোট-খাটো যে সমস্যা তা সমাধান করা হবে।

এছাড়া লুট হওয়া অস্ত্র কীভাবে দ্রুত উদ্ধার করা যায়, সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের পর কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গেল ১৪ মাসে ৪০ টির বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং বড় সংখ্যক মানুষ মবের শিকার হয়েছে-এ বিষয়ে নজরে এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী বা অন্য কোনো বাহিনীর মাধ্যমে কিংবা সিভিলিয়ান দ্বারা যে কোনো হত্যাকাণ্ড হোক না কেন, প্রত্যেকটি বিষয় আইনের আওতায় এবং আইনের মাধ্যমে ফয়সালা করা হবে।

উসকানিমূলক বক্তব্য কি দেশের বাইরে থেকে বেশি আসছে, নাকি দেশের ভেতর থেকে বেশি আসছে—কারা এসব বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, উসকানিমূলক বক্তব্য দেশের বাইরে থেকে বেশি আসে। দেশের ভেতরে যারা এই ধরনের কাজ করে, পুলিশ তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এ বক্তব্যগুলোর অনেক সময় সত্যতা থাকে না। কিন্তু সাংবাদিকদের বক্তব্য সত্য থাকে। সেজন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, উসকানিমূলক বক্তব্যগুলো সাংবাদিকরাই বেশি প্রতিহত করতে পারেন, যদি আপনারা সত্য সংবাদটি দেন। কোনো ধরনের সন্দেহ থাকলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করারও আহ্বান জানান জাহাঙ্গীর আলম।

যেসব অপরাধী বিদেশে আছে, তাদের দেশে প্রত্যর্পণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বড় বড় পদে থাকা কমিশনারদের মতো ব্যক্তি এবং অন্যান্য অপরাধীদের যারা বিদেশে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মিডিয়াকেও সোচ্চার হতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি এক্সট্রাডিশন ট্রিটি কার্যকর করার চেষ্টা চলছে।

আলাদা পুলিশ কমিশন কবে হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলাদা পুলিশ কমিশন গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে এর সুবিধা কী হবে, তা হওয়ার পরই জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।