নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তায়ন, চুরি, লুটপাট নিচে পড়ে যাচ্ছে। এতে এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ কথাগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। কারণ এটা না বললে আওয়ামী লীগ যে দুর্বৃত্তায়ন করেছে মানুষ তা ভুলে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ খাতের পুরো বিষয়টি আমরা রিভিউ করব এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ খাত থেকে ১ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রত্যেকটি চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে ইকবাল হাসান টুকু বলেন, এ খাতকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে ২০২৭ সালে বিপর্যয় আসতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতটা তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসার খাত বানিয়েছিল। তাদের দুর্নীতির বোঝা এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন টেকসই নয় এবং যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।
এ সময় বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব চুক্তি উন্মুক্ত করতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নজরুল ইসলাম খান।