Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন বন্দুক নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন বন্দুক নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে। এই দলটির সব পর্যায়ের নেতাদের কথাবার্তায়, আচার-আচরণে জনগণের প্রতি অশ্রদ্ধা, অবহেলা ফুটে ওঠেছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের বাজার লুটের কারণে আজ জনগণ সর্বস্বান্ত। বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ আর অর্থবিত্তের পুকুরে সাঁতার কাটছে সরকারের লোকজন।

রিজভী বলেন, সম্পূর্ণ একদলীয়—একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মসনদের অবৈধ মেয়াদ প্রলম্বিত করে আরো বেপরোয়া হয়ে জনগণের ওপর নতুন মাত্রায় জুলুম চালাচ্ছে ডামি সরকার। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, জানমাল, মানবাধিকার, জননিরাপত্তা লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। তাদের অনঢ়তা, একগুঁয়েমি ও বৈরিতার আঘাতে গণতন্ত্র কবরে শায়িত। রাষ্ট্রের পেশিশক্তি দিয়ে বিরোধী দল দমনের অভিনব সব পন্থা বিগত দেড় দশক ধরে অব্যাহত আছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক, উচ্ছিষ্টভোগী, দালাল ছাড়া দেশের সাধারণ মানুষ যেন উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিরোধীদল নিষ্পেষণ, দলন,গ্রেপ্তার, ত্যা আর সাধারণ জনগণের রক্তচুষে খাওয়াই এখন মাফিয়া সরকারের ব্রত। জনজীবনকে তারা দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস দশা। এদেশে স্বস্তিকর জীবন যাপন বলে কিছু নেই। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের ভেতরে বাংলাদেশকে নিপতিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটির জড়পদার্থে পরিণত হয়েছেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যেভাবে চালানো হয় তিনি (কাদের ) সেভাবেই চলেন। যে দেশে আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের অস্তিত্ব থাকে সে দেশে উগ্রবাদ খুঁজতে যাওয়া মূর্খের স্বর্গে বাস করা। জনগণপীড়ক অত্যাচারী, ন্যায়বিচারশুন্য প্রশাসন, স্বার্থপরলোভী কুকর্মাসক্ত আওয়ামী লীগ মাত্র তিন মাসেই বেছে বেছে বিএনপির ৩৪ জন নেতাকর্মীকে খুন করেছে। সরকারি মদতে ও অবহেলায় কারাগারে ১৫ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু নিশ্চিত করার পরও ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনারা কাকে উগ্রশক্তি বলেন? আপনি তো দখলদার মাফিয়া টিমের মুখপাত্র।

রাষ্ট্রের পেশিশক্তি দিয়ে বিরোধী দল দমনের অভিনব সব পন্থা বিগত দেড় দশক ধরে অব্যাহত আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবিলা করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বাড়াবাড়ি বলপ্রয়োগ, একই সময়ে ক্ষমতাসীন দলের পাল্টা কর্মসূচি সংঘাতময় বিভীষিকার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সড়কে মৃত্যু, খুনসহ নিত্যপণ্যের দাম আওয়ামী সিন্ডিকেট লাগামহীন ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সভ্যতার জন্য বৈরী সংগঠন ছাত্রলীগ গড়ে তুলেছে নারীর শ্লীলতাহানিসহ নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য। সব বিশ্ববিদ্যালয় এখন রক্তাক্ত এবং নারীদের জন্য বিপজ্জনক স্থান।

বিরোধী দল নিষ্পেষণ, গ্রেপ্তার-হত্যা আর সাধারণ জনগণের রক্ত চুষে খাওয়া এখন সরকারের ব্রত বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। বলেন, জনজীবনকে তারা দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস দশা। এ দেশে স্বস্তিকর জীবনযাপন বলে কিছু নেই। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের ভেতরে বাংলাদেশকে নিপতিত করা হয়েছে। মানুষ আর সইতে পারছে না।

আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মন্তব্য কওে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার যে সরাসরি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত তা বিভিন্ন সময় ইশারা ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন। বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ আর অর্থ বিত্তের পুকুরে সাঁতার কাটছে সরকারের লোকজন।

রিজভী বলেন, রমজানকে সামনে রেখে এখন থেকেই সরকারের সিন্ডিকেট চক্র জনগণের পকেট কাটতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব তো পড়েইনি, উল্টো গত ১০ দিনে রমজানসংশ্লিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। শুল্ক কমানোর পরে ঐ ৪টি পণ্যের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমার কথা, কিন্তু কমেনি তো বটেই বরং এই চারটি পণ্যের দাম কেজিতে ১০/২০ টাকা বেড়ে গেছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩২ টাকায় বিক্রি হতো। এখন খুচরা বাজারে খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনও সেই দরে কিনতে হচ্ছে চিনি।

তিনি বলেন, গ্যাস নেই, রাস্তায় যানজট, বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং, দুর্গন্ধময় ওয়াসার পানি, বাজারে আগুন। আওয়ামী সিন্ডিকেট চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ছাত্রলীগ গড়ে তুলেছে নারীর শ্লীলতাহানিসহ সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন রক্তাক্ত এবং নারীদের জন্য বিপজ্জনক স্থান। সরকারী দলের প্রশ্রয়ে শহর, নগর, বন্দরে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হামলা ও খুনাখুনিতে মানুষ আতঙ্কিত। সব মিলিয়ে কেবল এই রাজধানী ঢাকা নয়, পুরো দেশটাকেই যাতনাময় বিষাদলোকে পরিণত করেছে সরকার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লস অ্যাঞ্জেলেস মাতাবেন ঢাকার তারকারা

রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন বন্দুক নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন বন্দুক নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে। এই দলটির সব পর্যায়ের নেতাদের কথাবার্তায়, আচার-আচরণে জনগণের প্রতি অশ্রদ্ধা, অবহেলা ফুটে ওঠেছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের বাজার লুটের কারণে আজ জনগণ সর্বস্বান্ত। বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ আর অর্থবিত্তের পুকুরে সাঁতার কাটছে সরকারের লোকজন।

রিজভী বলেন, সম্পূর্ণ একদলীয়—একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মসনদের অবৈধ মেয়াদ প্রলম্বিত করে আরো বেপরোয়া হয়ে জনগণের ওপর নতুন মাত্রায় জুলুম চালাচ্ছে ডামি সরকার। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, জানমাল, মানবাধিকার, জননিরাপত্তা লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। তাদের অনঢ়তা, একগুঁয়েমি ও বৈরিতার আঘাতে গণতন্ত্র কবরে শায়িত। রাষ্ট্রের পেশিশক্তি দিয়ে বিরোধী দল দমনের অভিনব সব পন্থা বিগত দেড় দশক ধরে অব্যাহত আছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক, উচ্ছিষ্টভোগী, দালাল ছাড়া দেশের সাধারণ মানুষ যেন উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিরোধীদল নিষ্পেষণ, দলন,গ্রেপ্তার, ত্যা আর সাধারণ জনগণের রক্তচুষে খাওয়াই এখন মাফিয়া সরকারের ব্রত। জনজীবনকে তারা দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস দশা। এদেশে স্বস্তিকর জীবন যাপন বলে কিছু নেই। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের ভেতরে বাংলাদেশকে নিপতিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটির জড়পদার্থে পরিণত হয়েছেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যেভাবে চালানো হয় তিনি (কাদের ) সেভাবেই চলেন। যে দেশে আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের অস্তিত্ব থাকে সে দেশে উগ্রবাদ খুঁজতে যাওয়া মূর্খের স্বর্গে বাস করা। জনগণপীড়ক অত্যাচারী, ন্যায়বিচারশুন্য প্রশাসন, স্বার্থপরলোভী কুকর্মাসক্ত আওয়ামী লীগ মাত্র তিন মাসেই বেছে বেছে বিএনপির ৩৪ জন নেতাকর্মীকে খুন করেছে। সরকারি মদতে ও অবহেলায় কারাগারে ১৫ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু নিশ্চিত করার পরও ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনারা কাকে উগ্রশক্তি বলেন? আপনি তো দখলদার মাফিয়া টিমের মুখপাত্র।

রাষ্ট্রের পেশিশক্তি দিয়ে বিরোধী দল দমনের অভিনব সব পন্থা বিগত দেড় দশক ধরে অব্যাহত আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবিলা করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বাড়াবাড়ি বলপ্রয়োগ, একই সময়ে ক্ষমতাসীন দলের পাল্টা কর্মসূচি সংঘাতময় বিভীষিকার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সড়কে মৃত্যু, খুনসহ নিত্যপণ্যের দাম আওয়ামী সিন্ডিকেট লাগামহীন ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সভ্যতার জন্য বৈরী সংগঠন ছাত্রলীগ গড়ে তুলেছে নারীর শ্লীলতাহানিসহ নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য। সব বিশ্ববিদ্যালয় এখন রক্তাক্ত এবং নারীদের জন্য বিপজ্জনক স্থান।

বিরোধী দল নিষ্পেষণ, গ্রেপ্তার-হত্যা আর সাধারণ জনগণের রক্ত চুষে খাওয়া এখন সরকারের ব্রত বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। বলেন, জনজীবনকে তারা দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস দশা। এ দেশে স্বস্তিকর জীবনযাপন বলে কিছু নেই। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের ভেতরে বাংলাদেশকে নিপতিত করা হয়েছে। মানুষ আর সইতে পারছে না।

আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মন্তব্য কওে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার যে সরাসরি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত তা বিভিন্ন সময় ইশারা ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন। বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ আর অর্থ বিত্তের পুকুরে সাঁতার কাটছে সরকারের লোকজন।

রিজভী বলেন, রমজানকে সামনে রেখে এখন থেকেই সরকারের সিন্ডিকেট চক্র জনগণের পকেট কাটতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব তো পড়েইনি, উল্টো গত ১০ দিনে রমজানসংশ্লিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। শুল্ক কমানোর পরে ঐ ৪টি পণ্যের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমার কথা, কিন্তু কমেনি তো বটেই বরং এই চারটি পণ্যের দাম কেজিতে ১০/২০ টাকা বেড়ে গেছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩২ টাকায় বিক্রি হতো। এখন খুচরা বাজারে খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনও সেই দরে কিনতে হচ্ছে চিনি।

তিনি বলেন, গ্যাস নেই, রাস্তায় যানজট, বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং, দুর্গন্ধময় ওয়াসার পানি, বাজারে আগুন। আওয়ামী সিন্ডিকেট চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ছাত্রলীগ গড়ে তুলেছে নারীর শ্লীলতাহানিসহ সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন রক্তাক্ত এবং নারীদের জন্য বিপজ্জনক স্থান। সরকারী দলের প্রশ্রয়ে শহর, নগর, বন্দরে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হামলা ও খুনাখুনিতে মানুষ আতঙ্কিত। সব মিলিয়ে কেবল এই রাজধানী ঢাকা নয়, পুরো দেশটাকেই যাতনাময় বিষাদলোকে পরিণত করেছে সরকার।