Dhaka শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনীতির ময়দান শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার : মির্জা ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়ে মাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরনো মামলা সচল করে দ্রুত নিষ্পত্তি করে সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনা করা হয়।

সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো স্যাংশনসহ ভিসা নীতি আরোপ করছে। দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে উঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে তখনই আবার শুরু হয়েছে দমন নীতি। শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। যে কর্মীকে আটক করা হচ্ছে, পরেরদিন তাদের সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিদিন হাজারো নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

কিছু-কিছু সম্পাদক বুদ্ধিজীবী-শিক্ষক সরকারকে ডিফেন্ড করে কথা বলছেন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহ্বান করব, আপনারা জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ কী চায় তা শুনুন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা এখন রাখাল বালকের কথা মতো, তাদের কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন। অল্প দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, আলহাজ মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, সেকেন্দার কাদির, হাজী মনির হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, দক্ষিণ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পাভেল শিকদার, সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ মহিলা দলের সদস্য সচিব নার্গিস প্রমুখ।

আবহাওয়া

খানাখন্দে মরণফাঁদ, যেন নরকের রাস্তা

রাজনীতির ময়দান শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১০:২৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়ে মাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরনো মামলা সচল করে দ্রুত নিষ্পত্তি করে সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনা করা হয়।

সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো স্যাংশনসহ ভিসা নীতি আরোপ করছে। দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে উঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে তখনই আবার শুরু হয়েছে দমন নীতি। শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। যে কর্মীকে আটক করা হচ্ছে, পরেরদিন তাদের সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিদিন হাজারো নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

কিছু-কিছু সম্পাদক বুদ্ধিজীবী-শিক্ষক সরকারকে ডিফেন্ড করে কথা বলছেন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহ্বান করব, আপনারা জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ কী চায় তা শুনুন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা এখন রাখাল বালকের কথা মতো, তাদের কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন। অল্প দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, আলহাজ মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, সেকেন্দার কাদির, হাজী মনির হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, দক্ষিণ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পাভেল শিকদার, সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ মহিলা দলের সদস্য সচিব নার্গিস প্রমুখ।