নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ দিনে ৬৪টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। এসব ঘটনায় ৬৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন থানায়।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, আগুন দেওয়ার সময় জনগণ ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ১২ জন। এদের মধ্যে কেউ যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে বা নিচে থেকে অগ্নিসংযোগ করেছে। আটকের সময় তাদের থেকে পেট্রোল, গান পাউডার, দেশলাই, তুলা, পুরনো কাপড় ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে।
আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যাবার সময় মোহাম্মদপুরে একজন দুষ্কৃতকারী মারা যায় বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করতে চাই- কেউ যদি নাশকতা করে অগ্নিসংযোগ করে মানুষকে পুড়িয়ে দেয় তাহলে ঢাকা মহানগর পুলিশ তাদের নিরাপত্তার জন্য সর্বাত্মক যে প্রচেষ্টা করবে তেমনি আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে।
অতিরিক্ত কমিশনার বলে, আমরা দেখেছি অপরাধীদের বিভিন্ন জায়গা থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা নির্বিচারে এই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে। আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর আবারও অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি অনুরোধ করবো তারা যেন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসাত্মক কিছু না করেন।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইতিবাচক, সংবেদনশীল এবং নিরাপত্তা প্রদানে বদ্ধপরিকর। আমরা এই কাজটি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে করার চেষ্টা করেছি। রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত এবং অগ্রহণযোগ্য। আমরা যদি উল্লেখ করি গত ২৮ অক্টোবর ঢাকা সিটিতে ৬৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। নাশকতা করা হয়েছে যেটি দুষ্কৃতকারীরা করেছে।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, যারা গাড়িতে থাকে তারা মানুষ। এই শহরের মানুষ। তারা তাদের জীবন-জীবিকা এবং কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হয় এবং গাড়ি ব্যবহার করে থাকে। গত একটি অক্টোবর একজন হেলপারকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। যা অত্যন্ত নির্মম, নিঠুর ও অমানবিক।
ঢাকা সিটিতে বিভিন্ন বাসে অগ্নিসংযোগকালে ১২টি জায়গা থেকে জড়িতদের আটক করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, মানুষের নিরাপত্তার জন্য আমরা বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে বিশেষ করে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে তাদের কাছ থেকে সচেতনতা ও সহযোগিতা কামনা করেছি। তারা অনেককে গ্রেফতার-অটকে সহায়তা করেছেন।