Dhaka মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে সেনা অভিযানে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার, আটক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ককটেল, পেট্রোল বোমা, বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলের ড্রাইভার সজীব (২২) নামে এক যুবককে আটক করা হয়।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকা থেকে ককটেল বোমা তৈরির সময় তাকে আটক করা হয়।

‎এ সময় তার কাছ থেকে ১৮টি ককটেল বোমা, ২৩টি পেট্রোল বোমা, ১৪০টি গ্লাস কনটেইনার (বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত), ২৫০ গ্রাম গানপাউডার, ৬ প্যাকেট স্প্লিন্টার, ৫ কেজি মার্বেল পাথর, ৩ কেজি ভাঙা পাথর, ১টি ধারালো তলোয়ার ও ১টি সামুরাই তলোয়ার উদ্ধার করা হয়।

‎আইনশৃঙ্খলা সূত্র জানায়, রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় শেরে-বাংলা আর্মি ক্যাম্পের গোয়েন্দা শাখা গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকায় এক যুবক ককটেল বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযান চালিয়ে সজিব (২২) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। যিনি জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলের ড্রাইভার নামে পরিচিত।

‎আরও জানা যায়,পরবর্তীতে সজিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় দ্বিতীয় দফা অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। সেখানে আরও বেশ কিছু ককটেল বোমা, পেট্রোল বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের সংবাদ পেয়ে তার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, মোহাম্মদপুরে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছে। সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সফল অভিযানে তাদের কার্যকারিতা কিছুটা হলেও কমবে। আটকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

‎অভিযানে আটককৃত আসামি সজিব এবং উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক ও অস্ত্রসমূহ পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

স্থানীয়রা জানান, জেনেভা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অপরাধী গোষ্ঠী অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এলাকাটিতে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রাজধানীতে সেনা অভিযানে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ককটেল, পেট্রোল বোমা, বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলের ড্রাইভার সজীব (২২) নামে এক যুবককে আটক করা হয়।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকা থেকে ককটেল বোমা তৈরির সময় তাকে আটক করা হয়।

‎এ সময় তার কাছ থেকে ১৮টি ককটেল বোমা, ২৩টি পেট্রোল বোমা, ১৪০টি গ্লাস কনটেইনার (বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত), ২৫০ গ্রাম গানপাউডার, ৬ প্যাকেট স্প্লিন্টার, ৫ কেজি মার্বেল পাথর, ৩ কেজি ভাঙা পাথর, ১টি ধারালো তলোয়ার ও ১টি সামুরাই তলোয়ার উদ্ধার করা হয়।

‎আইনশৃঙ্খলা সূত্র জানায়, রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় শেরে-বাংলা আর্মি ক্যাম্পের গোয়েন্দা শাখা গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকায় এক যুবক ককটেল বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযান চালিয়ে সজিব (২২) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। যিনি জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলের ড্রাইভার নামে পরিচিত।

‎আরও জানা যায়,পরবর্তীতে সজিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় দ্বিতীয় দফা অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। সেখানে আরও বেশ কিছু ককটেল বোমা, পেট্রোল বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের সংবাদ পেয়ে তার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, মোহাম্মদপুরে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছে। সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সফল অভিযানে তাদের কার্যকারিতা কিছুটা হলেও কমবে। আটকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

‎অভিযানে আটককৃত আসামি সজিব এবং উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক ও অস্ত্রসমূহ পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

স্থানীয়রা জানান, জেনেভা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অপরাধী গোষ্ঠী অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এলাকাটিতে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।