Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাঙামাটিতে গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি : 

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতুমং মারমা (৫১) মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা।

চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা জানান, আতুমং আহত হওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার সঙ্গে থাকা ওয়ার্ড মেম্বার ও স্বজনরা ফোন করে মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১টায় বড়থলি পাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আতুমং। ওই সময় বড়থলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বড়থলি পাড়ার একটি বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আতুমংকে উদ্ধার করে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বুধবার ভোর ৬টায় বান্দরবান জেলার রুমা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।

রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল জানিয়েছিলেন, রোগীর গায়ে দুটি গুলি লেগেছে। এর মধ্যে হাতে গুলি ঢুকে বের হয়ে গেলেও পায়ের উরুতে লাগা গুলি রয়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ আতুমংকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনার জন্য আতুমং মারমা তার ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াইবা ত্রিপুরাকে (৫০) দোষারোপ করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ওয়াইবা ত্রিপুরা তাকে গুলি করেছেন। তবে এর কারণ জানাতে পারেননি তিনি।

গুলির ঘটনার পর বিলাইছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি মো. আবুল কাশেম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, গুলিবিদ্ধ আতুমংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে ফিরে আসার পর মামলা হবে। তদন্তের পর এই ঘটনার কারণ জানা যাবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

রাঙামাটিতে গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০২:২৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি : 

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতুমং মারমা (৫১) মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা।

চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা জানান, আতুমং আহত হওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার সঙ্গে থাকা ওয়ার্ড মেম্বার ও স্বজনরা ফোন করে মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১টায় বড়থলি পাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আতুমং। ওই সময় বড়থলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বড়থলি পাড়ার একটি বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আতুমংকে উদ্ধার করে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বুধবার ভোর ৬টায় বান্দরবান জেলার রুমা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।

রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল জানিয়েছিলেন, রোগীর গায়ে দুটি গুলি লেগেছে। এর মধ্যে হাতে গুলি ঢুকে বের হয়ে গেলেও পায়ের উরুতে লাগা গুলি রয়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ আতুমংকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনার জন্য আতুমং মারমা তার ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াইবা ত্রিপুরাকে (৫০) দোষারোপ করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ওয়াইবা ত্রিপুরা তাকে গুলি করেছেন। তবে এর কারণ জানাতে পারেননি তিনি।

গুলির ঘটনার পর বিলাইছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি মো. আবুল কাশেম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, গুলিবিদ্ধ আতুমংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে ফিরে আসার পর মামলা হবে। তদন্তের পর এই ঘটনার কারণ জানা যাবে।