Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রমনা বটমূলে বোমা হামলা : ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বহুল আলোচিত ২০০১ সালে রাজধানীর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন ও জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি নয় আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) প্রথম দিন মামলার সাক্ষ্য ও জেরাসহ অংশিক রায় পাঠ করেন এবং বাকী অংশ ঘোষণার জন্য ১৩ মে দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করছেন আদালত।

রায় ঘোষণার শুরুতে আদালত বলেন, রায়ে এদিন ঘটনা ও সাক্ষী পর্যালোচনা করা হবে। বাকিটা (রায়) পরবর্তী তারিখে হবে। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, তাহলে রায়ের আদেশ অংশ (সিদ্ধান্ত) আজ হচ্ছে না?’ তখন আদালত বলেন, ‘ আজ বৃহস্পতিবার আদেশ অংশ হচ্ছে না।।

২০১৪ সালের ২৩ জুন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ আটজনের ফাঁসি ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

রমনা বটমূলে বোমা হামলা : ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৪:১২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বহুল আলোচিত ২০০১ সালে রাজধানীর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন ও জুয়েলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি নয় আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) প্রথম দিন মামলার সাক্ষ্য ও জেরাসহ অংশিক রায় পাঠ করেন এবং বাকী অংশ ঘোষণার জন্য ১৩ মে দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করছেন আদালত।

রায় ঘোষণার শুরুতে আদালত বলেন, রায়ে এদিন ঘটনা ও সাক্ষী পর্যালোচনা করা হবে। বাকিটা (রায়) পরবর্তী তারিখে হবে। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, তাহলে রায়ের আদেশ অংশ (সিদ্ধান্ত) আজ হচ্ছে না?’ তখন আদালত বলেন, ‘ আজ বৃহস্পতিবার আদেশ অংশ হচ্ছে না।।

২০১৪ সালের ২৩ জুন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ আটজনের ফাঁসি ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।