Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রদ্রিগোর জোড়া গোলে ৯ বছর পর চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর পায়ে স্প্যানিশ কোপা দেল রের কুড়িতম শিরোপা শোকেসে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৯ বছর পর প্রথমবার এই কাপ টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলো তারা।

শনিবার (৬ মে) দিবাগত রাতে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ওসাসুনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ।

কোপা দেল রের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনাকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল রিয়াল। ২০১৪ সালের পর প্রথমবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তারা। মাদ্রিদ ক্লাবের প্রতিপক্ষ ২০০৫ সালে একমাত্র ফাইনাল খেলা ওসাসুনা। প্রত্যাশিতভাবে ফেভারিট ছিল রিয়াল। ২০১৪ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন তারাই।

সেভিয়ার এস্তাদিও দি অলিম্পিকো মাঠের গ্যালারিতে তখনও সবাই ঠিকঠাক মতো আসনও গ্রহণ করেনি। রেফারি বাঁশি বাজানোর পৌনে দুই মিনিটের মাথায় ম্যাচে লিড পেয়ে যায় রিয়াল। বাঁ উইংয়ে দুর্দান্ত খেলে বলের যোগান দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দেওয়া তার পাস থেকে বাঁ-পায়ের শটে বল জালে জড়ান রদ্রিগো। আসরটির ফাইনালে এটি ৭৭ বছরের মধ্যে দ্রুততম গোল। আর তাতে শিরোপা উৎসবের দৌড়ে শুরুতেই আনন্দের জোয়ারে ভাসে সবমিলিয়ে ২০তম কোপা দেল রে জেতা ক্লাবটি।

১৬তম মিনিটে আবারও সুযোগ আসে তাদের সামনে। ওসাসুনার আব্দে ইজ্জাজুলি বক্সের বাইরে এদের মিলিতাওকে কাটিয়ে ফাঁকি দেন কোর্তোয়াকে, কিন্তু গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল।

dhakapost

পিছিয়ে পড়া ওসাসুনা এরপর গোল শোধ করার লক্ষ্যে বুক চিতিয়ে খেলতে থাকে। ২৬ মিনিটে গোল লাইন থেকে ওসাসুনার এজালজৌলির শট ফেরান দানি কারবাহাল। তার এক মিনিট আগেই প্রতি আক্রমণ থেকে করিম বেনজেমার জোরাল শট ঠেকান ওসাসুনা গোলকিপার সার্জিও এরেরা। তবে ভাগ্য সহায় হলে রিয়াল বিরতির আগেই আরও একটি গোল পেয়ে যেত। ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ডেভিড আলাবা একটুর জন্য গোল পাননি। বল পোস্ট লেগেছে।

বিরতির পর ৫৮ মিনিটে পাবলো তোরোর দুরপাল্লার শটে করা গোলে সমতায় ফেরে ওসাসুনা। কিন্তু দলটির বক্সে রিয়ালের খেলোয়াড়দের চাপসৃষ্টি দেখে বোঝা যাচ্ছিল ওসাসুনা বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারবে না। রদ্রিগোর গোলটি সেই চাপেরই ফসল।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে আবারও প্রথম গোলের মতোই আক্রমণ রিয়ালের। ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে ভিনিসিয়াসের বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকার পর তার ক্রস আরেক ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পায়। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি ওসাসুনা। টনি ক্রুসের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান রদ্রিগো, বাকিটা অনায়াসে সারেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।

রদ্রিগো

কিছুটা চোট থাকায় এদিন লুকা মদ্রিচকে শুরু থেকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন আনচেলত্তি। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল থাকায় ক্রোয়াট তারকাকে নামালে নামালেও সেটি বিরতির পর বলে মনে হয়েছিল। ৮২ মিনিটে টনি ক্রুসের বদলি হয়ে যখন মদ্রিচ নামালেন রিয়াল তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে। বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর ভালো দুটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি আলাবা ও বেনজেমা। যোগ করা সময়ে সুযোগ হারায় ওসাসুনাও।

বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি। অবশ্য রিয়ালের ডেভিড আলবার নেওয়া একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। ভিনিসিউস জুনিয়র মিস করেন নিশ্চিত গোলের সুযোগ। কিন্তু রদ্রিগোর জ্বলে ওঠার দিনে শিরোপা জয় মিস হয়নি রিয়ালের। আর এরপরই শুরু রিয়ালের উৎসব।

চলতি মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা একরকম শেষই হয়ে গেছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা টিকে আছে ভালোভাবে। আগামী মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হওয়ার আগে এই জয় নিশ্চিতভাবেই বেনজেমা-ভিনিসিয়াসদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।

অন্যদিকে লা লিগার শিরোপা বার্সেলোনার কাছে হারাতে বসেছে রিয়াল। তবে ডাবল জেতার স্বপ্ন বেঁচে আছে। কেননা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে মৌসুমে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের সুযোগ এখনো আছে আনচেলত্তি শীষ্যদের। মঙ্গলবার (৯ মে) ম্যানসিটির সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ। আর তার আগে একটি ট্রফি জিতা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

রদ্রিগোর জোড়া গোলে ৯ বছর পর চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

প্রকাশের সময় : ০১:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর পায়ে স্প্যানিশ কোপা দেল রের কুড়িতম শিরোপা শোকেসে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৯ বছর পর প্রথমবার এই কাপ টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলো তারা।

শনিবার (৬ মে) দিবাগত রাতে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ওসাসুনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ।

কোপা দেল রের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনাকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল রিয়াল। ২০১৪ সালের পর প্রথমবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তারা। মাদ্রিদ ক্লাবের প্রতিপক্ষ ২০০৫ সালে একমাত্র ফাইনাল খেলা ওসাসুনা। প্রত্যাশিতভাবে ফেভারিট ছিল রিয়াল। ২০১৪ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন তারাই।

সেভিয়ার এস্তাদিও দি অলিম্পিকো মাঠের গ্যালারিতে তখনও সবাই ঠিকঠাক মতো আসনও গ্রহণ করেনি। রেফারি বাঁশি বাজানোর পৌনে দুই মিনিটের মাথায় ম্যাচে লিড পেয়ে যায় রিয়াল। বাঁ উইংয়ে দুর্দান্ত খেলে বলের যোগান দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দেওয়া তার পাস থেকে বাঁ-পায়ের শটে বল জালে জড়ান রদ্রিগো। আসরটির ফাইনালে এটি ৭৭ বছরের মধ্যে দ্রুততম গোল। আর তাতে শিরোপা উৎসবের দৌড়ে শুরুতেই আনন্দের জোয়ারে ভাসে সবমিলিয়ে ২০তম কোপা দেল রে জেতা ক্লাবটি।

১৬তম মিনিটে আবারও সুযোগ আসে তাদের সামনে। ওসাসুনার আব্দে ইজ্জাজুলি বক্সের বাইরে এদের মিলিতাওকে কাটিয়ে ফাঁকি দেন কোর্তোয়াকে, কিন্তু গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল।

dhakapost

পিছিয়ে পড়া ওসাসুনা এরপর গোল শোধ করার লক্ষ্যে বুক চিতিয়ে খেলতে থাকে। ২৬ মিনিটে গোল লাইন থেকে ওসাসুনার এজালজৌলির শট ফেরান দানি কারবাহাল। তার এক মিনিট আগেই প্রতি আক্রমণ থেকে করিম বেনজেমার জোরাল শট ঠেকান ওসাসুনা গোলকিপার সার্জিও এরেরা। তবে ভাগ্য সহায় হলে রিয়াল বিরতির আগেই আরও একটি গোল পেয়ে যেত। ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ডেভিড আলাবা একটুর জন্য গোল পাননি। বল পোস্ট লেগেছে।

বিরতির পর ৫৮ মিনিটে পাবলো তোরোর দুরপাল্লার শটে করা গোলে সমতায় ফেরে ওসাসুনা। কিন্তু দলটির বক্সে রিয়ালের খেলোয়াড়দের চাপসৃষ্টি দেখে বোঝা যাচ্ছিল ওসাসুনা বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারবে না। রদ্রিগোর গোলটি সেই চাপেরই ফসল।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে আবারও প্রথম গোলের মতোই আক্রমণ রিয়ালের। ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে ভিনিসিয়াসের বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকার পর তার ক্রস আরেক ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পায়। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি ওসাসুনা। টনি ক্রুসের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান রদ্রিগো, বাকিটা অনায়াসে সারেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।

রদ্রিগো

কিছুটা চোট থাকায় এদিন লুকা মদ্রিচকে শুরু থেকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন আনচেলত্তি। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল থাকায় ক্রোয়াট তারকাকে নামালে নামালেও সেটি বিরতির পর বলে মনে হয়েছিল। ৮২ মিনিটে টনি ক্রুসের বদলি হয়ে যখন মদ্রিচ নামালেন রিয়াল তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে। বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর ভালো দুটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি আলাবা ও বেনজেমা। যোগ করা সময়ে সুযোগ হারায় ওসাসুনাও।

বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি। অবশ্য রিয়ালের ডেভিড আলবার নেওয়া একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। ভিনিসিউস জুনিয়র মিস করেন নিশ্চিত গোলের সুযোগ। কিন্তু রদ্রিগোর জ্বলে ওঠার দিনে শিরোপা জয় মিস হয়নি রিয়ালের। আর এরপরই শুরু রিয়ালের উৎসব।

চলতি মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা একরকম শেষই হয়ে গেছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা টিকে আছে ভালোভাবে। আগামী মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হওয়ার আগে এই জয় নিশ্চিতভাবেই বেনজেমা-ভিনিসিয়াসদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।

অন্যদিকে লা লিগার শিরোপা বার্সেলোনার কাছে হারাতে বসেছে রিয়াল। তবে ডাবল জেতার স্বপ্ন বেঁচে আছে। কেননা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে মৌসুমে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের সুযোগ এখনো আছে আনচেলত্তি শীষ্যদের। মঙ্গলবার (৯ মে) ম্যানসিটির সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ। আর তার আগে একটি ট্রফি জিতা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।