নিজস্ব প্রতিবেদক :
জরুরি অবস্থা জারির খবরকে ‘গসিপ’ (গালগল্প) বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাংলাদেশকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। জরুরি অবস্থা জারির কথা কেউ কেউ বলছেন। সেনাবাহিনী পুরোটাই দেখবে। এই ধরনের সম্ভাবনা কিংবা আলোচনা আছে কি না- জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমার কোনো কমেন্ট নেই। এগুলো গসিপ, আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দু’একজন কথা বলছেন, এ সম্পর্কে আমার কোনো কমেন্ট নেই।’
তিনি বলেন, আমাদের যেভাবে কাজ আছে সেটা আমরা জারি রাখবো। সেভাবেই চলতে থাকবে।
নাসিমুল গনি বলেন, আমার দুজন অফিসার সারারাত ঘুরে বেড়াচ্ছেন, দেখছেন। আমরা সতর্ক আছি, পুলিশ সতর্ক আছে। আমরা সবাই চেষ্টা করছি যেন যে স্থিতিশীলতা আছে, সেটা যেন অব্যাহত থাকে।
সামনে ঈদের নয় দিনের দীর্ঘ ছুটি। মানুষের নিরাপত্তার বিষয় যদি কিছু বলেন- এ বিষয়ে নাসিমুল গনি বলেন, আমরা ভিজিলেন্সি একটুও কমাইনি। শুধু যে পুলিশের সাধারণ টহল হচ্ছে তাই নয়, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে একটি তালিকা করা আছে, প্রতি রাতে দুজন অফিসার ঢাকা শহরে টহল কতদূর হচ্ছে না হচ্ছে, সেটা তারা সরাসরি গিয়ে দেখছেন। আমরা সতর্ক রয়েছি।
‘বরাবর ঈদের সময় যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয় তার সবগুলোই এবারও নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা সতর্ক থাকবো যেন অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে।’ যোগ করেন এই সিনিয়র সচিব।
কোনো হুমকি আছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমার নলেজে নেই, নরমাল যেমন ঝুঁকি থাকে সবকিছু সেরকমই আছে।’
ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম ঈদের পরপরই চালু হচ্ছে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ভিসা সেন্টার, এর আগে বাইরে ছিল, বাংলাদেশের বাইরে। ভিসা এতদিন নয়া দিল্লি থেকে হচ্ছিল। সেটা এখন অপারেশন শুরু করবে এই মাসের শেষের থেকে। ঈদের পরপরই চালু হয়ে যাবে আশা করছি। তারা আমাদের এ কথা জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সই করেন করেন অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াইটচার্চ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বাংলাদেশের পক্ষে নথিতে সই করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।