Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৮৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-ফিলিস্তিনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলছে। এতে আক্রান্ত হচ্ছে নারী ও শিশু। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধের কারণে যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধ এবং গণহত্যা চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না। এ প্রসঙ্গে তিনি তার উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন যা জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিল।

তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে। সর্বোপরি জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের পারস্পরিক সম্মান দেখাতে হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’ সমর্থন করে বাংলাদেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবশ্যই সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে না বলতে হবে। টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।

তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই সংলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসন করতে হবে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা অবশ্যই সর্বাগ্রে থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে সংঘাত শুরুর পর সেখান থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন রোহিঙ্গারা। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয়ও দেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্বেই এটি মানবিকতার অনন্য উদাহরণ। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন দেরি হচ্ছে। তাদের সম্মানের সঙ্গে ফেরত পাঠাতে হবে। এ জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারে। আসিয়ানকে এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যা ছাড়া আঞ্চলিক যোগাযোগ, সংহতকরণ ও সমৃদ্ধির সব প্রচেষ্টা একটি অনুপস্থিত ধাঁধা দ্বারা চিহ্নিত করা অব্যাহত থাকবে। তাদের সংকটের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারে রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এ সমাধান নাগালের বাইরে থাকবে, ততক্ষণ আঞ্চলিক সংযোগ, সংহতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সব প্রচেষ্টা একটি অনুপস্থিত ধাঁধা দ্বারা চিহ্নিত হতে থাকবে। আসুন আমরা সেই ধাঁধাটি আবার জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সফরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সেখানে গেছেন। আগামী সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে তার ব্যাংকক ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশের সময় : ০১:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-ফিলিস্তিনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলছে। এতে আক্রান্ত হচ্ছে নারী ও শিশু। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধের কারণে যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধ এবং গণহত্যা চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না। এ প্রসঙ্গে তিনি তার উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন যা জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিল।

তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে। সর্বোপরি জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের পারস্পরিক সম্মান দেখাতে হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’ সমর্থন করে বাংলাদেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবশ্যই সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে না বলতে হবে। টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।

তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই সংলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসন করতে হবে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা অবশ্যই সর্বাগ্রে থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে সংঘাত শুরুর পর সেখান থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন রোহিঙ্গারা। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয়ও দেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্বেই এটি মানবিকতার অনন্য উদাহরণ। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন দেরি হচ্ছে। তাদের সম্মানের সঙ্গে ফেরত পাঠাতে হবে। এ জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারে। আসিয়ানকে এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যা ছাড়া আঞ্চলিক যোগাযোগ, সংহতকরণ ও সমৃদ্ধির সব প্রচেষ্টা একটি অনুপস্থিত ধাঁধা দ্বারা চিহ্নিত করা অব্যাহত থাকবে। তাদের সংকটের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারে রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এ সমাধান নাগালের বাইরে থাকবে, ততক্ষণ আঞ্চলিক সংযোগ, সংহতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সব প্রচেষ্টা একটি অনুপস্থিত ধাঁধা দ্বারা চিহ্নিত হতে থাকবে। আসুন আমরা সেই ধাঁধাটি আবার জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সফরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সেখানে গেছেন। আগামী সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে তার ব্যাংকক ত্যাগ করার কথা রয়েছে।