Dhaka মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২৬.৬২ শতাংশ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সরকারি সংস্থা অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা)। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির পরিমাণ ৫.৩০ শতাংশ কমলেও বাংলাদেশ সেখানে উল্টো প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।

ওটেক্সার সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একই সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী চীনের রফতানি এই সময়ের মধ্যে ১৮.৩৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিপরীতে, ভিয়েতনাম ও ভারতের রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩২.৯৬ শতাংশ এবং ৩৪.১৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার রফতানি কমেছে ১৯.৮২ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার বেড়েছে ১০.৭৮ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির গড় ইউনিট মূল্য এই সময়ে ১.৭১ শতাংশ কমেছে। চীন ও ভারতের ইউনিট মূল্য যথাক্রমে ৩৩.৮০ শতাংশ এবং ৪.৫৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার ইউনিট মূল্য বেড়েছে যথাক্রমে ৭.৩০ শতাংশ, ৬.৬৪ শতাংশ ও ৭.৩৮ শতাংশ।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কম্বোডিয়ার ইউনিট মূল্য বেড়েছে ৩৮.৩১ শতাংশ, যা এ তালিকায় সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ’যখন আমরা আমাদের নিকটতম প্রতিযোগী যেমন ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে তুলনা করি, তখন স্পষ্ট হয় যে বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য আরও বাড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই উন্নতি রফতানির পরিমাণ না বাড়িয়েও মোট রফতানি আয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।‘

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে চীন ও ভিয়েতনামের রফতানি মূল্য প্রায় সমান ছিল, অথচ ভিয়েতনামের রফতানি পরিমাণ ছিল চীনের অর্ধেকেরও কম। কারণ, ভিয়েতনাম উচ্চ মূল্যের পণ্য রফতানি করে।‘ তার মতে, ‘কম দামের পণ্য থেকে বেশি দামের পণ্যের দিকে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য এখন এমন একটি অবস্থানে পৌঁছেছে, যা বৈশ্বিক গড়ের কাছাকাছি। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত, যা ভবিষ্যতে আরও টেকসই রফতানি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২৬.৬২ শতাংশ বেড়েছে

প্রকাশের সময় : ১২:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সরকারি সংস্থা অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা)। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির পরিমাণ ৫.৩০ শতাংশ কমলেও বাংলাদেশ সেখানে উল্টো প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।

ওটেক্সার সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একই সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী চীনের রফতানি এই সময়ের মধ্যে ১৮.৩৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিপরীতে, ভিয়েতনাম ও ভারতের রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩২.৯৬ শতাংশ এবং ৩৪.১৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার রফতানি কমেছে ১৯.৮২ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার বেড়েছে ১০.৭৮ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির গড় ইউনিট মূল্য এই সময়ে ১.৭১ শতাংশ কমেছে। চীন ও ভারতের ইউনিট মূল্য যথাক্রমে ৩৩.৮০ শতাংশ এবং ৪.৫৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার ইউনিট মূল্য বেড়েছে যথাক্রমে ৭.৩০ শতাংশ, ৬.৬৪ শতাংশ ও ৭.৩৮ শতাংশ।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কম্বোডিয়ার ইউনিট মূল্য বেড়েছে ৩৮.৩১ শতাংশ, যা এ তালিকায় সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ’যখন আমরা আমাদের নিকটতম প্রতিযোগী যেমন ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে তুলনা করি, তখন স্পষ্ট হয় যে বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য আরও বাড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই উন্নতি রফতানির পরিমাণ না বাড়িয়েও মোট রফতানি আয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।‘

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে চীন ও ভিয়েতনামের রফতানি মূল্য প্রায় সমান ছিল, অথচ ভিয়েতনামের রফতানি পরিমাণ ছিল চীনের অর্ধেকেরও কম। কারণ, ভিয়েতনাম উচ্চ মূল্যের পণ্য রফতানি করে।‘ তার মতে, ‘কম দামের পণ্য থেকে বেশি দামের পণ্যের দিকে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য এখন এমন একটি অবস্থানে পৌঁছেছে, যা বৈশ্বিক গড়ের কাছাকাছি। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত, যা ভবিষ্যতে আরও টেকসই রফতানি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করছে।