নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুলিশ আইনের মধ্য থেকেই কাজ করে উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে তারা কারা, এর কোনো তালিকা এখনো পায়নি। যদি ভিসানীতি আসে, তারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারবেন না।
মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগে পুলিশের কাজের গতি কমবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর আরোপ করা হয়েছে, তবে তারা কারা তা জানি না। যদি ভিসানীতি আসে তারা হয়তো দেশটিতে যেতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অবসরপ্রাপ্ত কোনো পুলিশ সদস্য থাকতে পারে। আবার অন্য কোনো বাহিনীর সদস্য থাকতে পারেন অথবা দায়িত্বে ঢাকা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো বাহিনীর সদস্যও হতে পারে। যাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি আসবে, তারা হয়তো আমেরিকাতে যেতে পারবে না। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য সংখ্যা দুই লাখের ওপরে। এই সদস্যদের মধ্যে কতজন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায় আমার প্রশ্ন। খুবই নগণ্য কিছু লোক হয়তো আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখে অথবা ছেলেমেয়েদের পাঠানোর চিন্তা করে।
ফারুক হোসেন বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কাজের প্রক্রিয়ার ওপরও কোনো প্রভাব পড়বে না। পুলিশ আইনের মধ্যে থেকে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে কাজ করে। পুলিশের কাজের গতি অনুক্রমে থেমে যাবে না বলে বিশ্বাস করি। ভিসা নীতির কারণে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এর চার মাসের মাথায় গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও বিরোধী দলের সদস্যও রয়েছেন।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যে সাতজনের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এখন পুলিশের আইজি।