Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ফেডারেল মুসলিম নারী বিচারক বাংলাদেশের নুসরাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচার বিভাগের ডিস্ট্রিক আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নুসরাত জাহান চৌধুরী। ডিস্ট্রিক আদালতে ফেডারেল বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এরমাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম নারী হিসেবে মার্কিন আদালতের ফেডারেল বিচারক হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন নুসরাত।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেট ভোটের মাধ্যমে নুসরাতের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি নিউইয়র্ক ইস্টার্ন ডিস্ট্রিকের ফেডারেল বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

৪৬ বছর বয়সী নুসরাত চৌধুরী দীর্ঘকাল যুক্তরাষ্ট্রের একটি নাগরিক অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত আইনজীবী সংগঠন এসিএলইউ-এ কাজ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে তিনি প্রচুর কাজ করেছেন।

এর আগে তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইয়েল ল স্কুল থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী নেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন মুসলিম অ্যাডভোকেসির নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে নুসরাত জাহান চৌধুরী নিয়োগ অনেক কারণেই ঐতিহাসিক। নুসরাত আইনি কাজের মাধ্যমে মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে নুসরাতকে ফেডারেল বিচারক হিসেবে মনোনয়ন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্টের এ মনোনয়নকে সমর্থন জানায় কয়েকটি সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং মুসলিম অধিকার সংস্থা।

আইনজীবীরা বলেছেন, নুররাতের এই স্বীকৃতি মার্কিন আইন ব্যবস্থায় মুসলিম প্রতিনিধিত্বের জন্য একটি মাইলফলক। কখনো কখনো দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়কে বৈষম্য এবং নাগরিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের শিকার হতে দেখা যায়।

নুসরাত চৌধুরী এর আগে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ) ইলিনয় শাখার আইনি পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি বিশিষ্ট মার্কিন নাগরিক স্বাধীনতা সংস্থা, যেখানে তিনি ফৌজদারি বিচার, পুলিশিং এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সরকারি নজরদারির মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন।

এসিএলইউ’র নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি ডি রোমেরো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, নুসরাত চৌধুরী একজন নাগরিক অধিকার-সোচ্চার আইনজীবী। তিনি আমাদের দেশের সবার জন্য সমান ন্যায়বিচারে অগ্রগতি নিয়ে অসাধারণ কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন।

সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির সিনেটর ডিক ডারবিনকে লেখা একটি চিঠিতে নুসরাতের মনোনয়নকে সমর্থনকারী বেশ কয়েকটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ উল্লেখ করেছে, দেশের বৃহত্তম মুসলিম এবং বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল নিউইয়র্কে নুসরাত চৌধুরী দায়িত্ব পালন করবেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নুসরাতের যোগদান আদালতে ব্যক্তিগত ও পেশাগত বৈচিত্র্য যুক্ত করবে। এটি বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে এবং সমান ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য (সকল সম্প্রদায়কে), আদালতকে আরও ভালোভাবে সজ্জিত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার নুসরাত চৌধুরীর মনোনয়ন নিশ্চিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি বলেন, সিনেট ডেমোক্র্যাটরা ফেডারেল বেঞ্চে ২১ জন এশিয়ান আমেরিকান বিচারককে অনুমোদন দিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ফেডারেল মুসলিম নারী বিচারক বাংলাদেশের নুসরাত

প্রকাশের সময় : ০১:১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচার বিভাগের ডিস্ট্রিক আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নুসরাত জাহান চৌধুরী। ডিস্ট্রিক আদালতে ফেডারেল বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এরমাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম নারী হিসেবে মার্কিন আদালতের ফেডারেল বিচারক হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন নুসরাত।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেট ভোটের মাধ্যমে নুসরাতের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি নিউইয়র্ক ইস্টার্ন ডিস্ট্রিকের ফেডারেল বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

৪৬ বছর বয়সী নুসরাত চৌধুরী দীর্ঘকাল যুক্তরাষ্ট্রের একটি নাগরিক অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত আইনজীবী সংগঠন এসিএলইউ-এ কাজ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে তিনি প্রচুর কাজ করেছেন।

এর আগে তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইয়েল ল স্কুল থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী নেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন মুসলিম অ্যাডভোকেসির নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে নুসরাত জাহান চৌধুরী নিয়োগ অনেক কারণেই ঐতিহাসিক। নুসরাত আইনি কাজের মাধ্যমে মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে নুসরাতকে ফেডারেল বিচারক হিসেবে মনোনয়ন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্টের এ মনোনয়নকে সমর্থন জানায় কয়েকটি সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং মুসলিম অধিকার সংস্থা।

আইনজীবীরা বলেছেন, নুররাতের এই স্বীকৃতি মার্কিন আইন ব্যবস্থায় মুসলিম প্রতিনিধিত্বের জন্য একটি মাইলফলক। কখনো কখনো দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়কে বৈষম্য এবং নাগরিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের শিকার হতে দেখা যায়।

নুসরাত চৌধুরী এর আগে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ) ইলিনয় শাখার আইনি পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি বিশিষ্ট মার্কিন নাগরিক স্বাধীনতা সংস্থা, যেখানে তিনি ফৌজদারি বিচার, পুলিশিং এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সরকারি নজরদারির মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন।

এসিএলইউ’র নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি ডি রোমেরো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, নুসরাত চৌধুরী একজন নাগরিক অধিকার-সোচ্চার আইনজীবী। তিনি আমাদের দেশের সবার জন্য সমান ন্যায়বিচারে অগ্রগতি নিয়ে অসাধারণ কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন।

সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির সিনেটর ডিক ডারবিনকে লেখা একটি চিঠিতে নুসরাতের মনোনয়নকে সমর্থনকারী বেশ কয়েকটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ উল্লেখ করেছে, দেশের বৃহত্তম মুসলিম এবং বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল নিউইয়র্কে নুসরাত চৌধুরী দায়িত্ব পালন করবেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নুসরাতের যোগদান আদালতে ব্যক্তিগত ও পেশাগত বৈচিত্র্য যুক্ত করবে। এটি বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে এবং সমান ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য (সকল সম্প্রদায়কে), আদালতকে আরও ভালোভাবে সজ্জিত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার নুসরাত চৌধুরীর মনোনয়ন নিশ্চিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি বলেন, সিনেট ডেমোক্র্যাটরা ফেডারেল বেঞ্চে ২১ জন এশিয়ান আমেরিকান বিচারককে অনুমোদন দিয়েছে।