নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতিসংঘের পর এবার হিরো আলমের ওপর হামলা নিয়ে বিবৃতি দেয়ার কারণে বুধবার (২১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ বিদেশি মিশনের প্রধানকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতদের তলব ঠিক না, শুধু একটি ব্রিফিংয়ের জন্য তাদের ডাকা হয়েছে। তলব তো করা হয় আলাদা আলাদা। এখন কাল তাদের কিছু ব্রিফিং করা হবে, তলব তো সিঙ্গেল হয়। আমরা তাদের গ্রুপে ডেকেছি।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গত ১৯ জুলাই ঢাকার ১৩ দূতাবাস ও হাইকমিশন বিবৃতি দেয়। দেশগুলো হলো কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন।
এর আগে, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচন হয়। ভোটগ্রহণের শেষ সময়ে বনানীর একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে হিরো আলমকে মারধর করেন কিছু তরুণ। পরদিন এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। পরে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১১টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়।
এদিকে, এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করায় ২০ জুলাই ঢাকায় জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী শেলডন ইয়েটকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে অসন্তোষ জানায় সরকার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘ যেন প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে- সরকারের এমন প্রত্যাশার কথাও তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিভিন্ন বিষয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তলবের বিষয়টি কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ আগেও নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের তলব করেছে। তবে সাম্প্রতিক ইতিহাসে জাতিসংঘের কোনও প্রতিনিধিকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশের নজির নেই।