Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যারা উন্নয়ন দেখে না তাদের প্রতি করুণা হয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, তবু কিছু মানুষ সরকারের উন্নয়ন দেখে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদেরকে চোখ থাকতে অন্ধ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করবোই। যারা চায়নি দেশের উন্নয়ন হোক এটা তাদের প্রতি আমার চ্যালেঞ্জ। নিজের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। আর সেটা তিনি বাস্তবায়ন করে দেখাবেন।

তিনি বলেন, যারা চায়নি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক, মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, শিক্ষা পাক, মাথা গোঁজার ঠাঁই পাক, তারা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

এ সময় নিজ এলাকার উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমার এলাকার কোনো উন্নয়ন যেন বাদ না যায়। কেথায় কী হচ্ছে সব আমি খোঁজ রাখি। আমার কাছে সব রাস্তাঘাটের আলাদা আলাদা ফাইল করা আছে। শুধু কোটালীপাড়া, টুঙ্গীপাড়া না- পুরো দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

আর এই উন্নয়নের শক্তি আপনারাই জুগিয়েছেন। আপনারাই আমার বড় শক্তি। আপনারা আছেন বলে আমি দেশের উন্নয়ন করে যেতে পারছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করে গেছেন। তার স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া আমার লক্ষ্য। আজকে দেশে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ। সেটাও যেন না থাকে সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। দেশের একজন মানুষও হতদরিদ্র থাকবে না।

কোটালীপাড়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: ফোকাস বাংলা

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকেরই ঘর-জমি ও জীবিকার ব্যবস্থা আমরা করতে পারব ইনশাল্লাহ। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে আমরা বৃত্তি দিচ্ছি। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের জন্য জাতির পিতা সংগ্রাম করে গেছেন। এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমি চাই।

তিনি আরও বলেন, যারা চায়নি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক, এ দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, চিকিৎসা পাক, শিক্ষা পাক তাদের কাছে আমার চ্যালেঞ্জ। আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা আমি পূরণ করবো। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সরকারপ্রধান বলেন, নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি, এসেছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু। অনেকেই মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আর এই শক্তিটা আপনারাই জুগিয়েছেন।

পদ্মা সেতু করতে নিজ নির্বাচনি এলাকার জনগণসহ দেশবাসী সাহস যুগিয়েছিল বলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের কিছু তো আছেই, যারা বাংলাদেশের কোনো ভালোই চোখে দেখে না। যারা দেখে না; চোখ থাকতে যারা অন্ধ, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। কাজেই এখন আর কিছু বলব না।

সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সবার হাতে মোবাইল ফোন, অনলাইন সেবা। এতগুলো টেলিভিশন দিয়ে দিয়েছি। সারাদিন কথাটথা বলে তারপরও বলে কিছুই বলতে পারি না? কথা বলার অধিকার নাই; এদের ব্যাপারে করুণা করা ছাড়া আর কিছু নাই। এটা আমরা করুণাই করি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে যারা দেশের ভালো কিছু চোখে দেখতে পায় না। যারা চোখ থাকতেও অন্ধ তাদেরকে কিছু বলার নেই। শুধু এতটুকুই বলব তারা চোখে দেখে না কিন্তু ঠিকই ভোগ করে। তাদের ব্যাপারে করুণা ছাড়া আর কিছু করার নেই এবং তাদের আমি করুণাই করি।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়ায় পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে এবং তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

কোটালীপাড়ায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি দুটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

যারা উন্নয়ন দেখে না তাদের প্রতি করুণা হয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, তবু কিছু মানুষ সরকারের উন্নয়ন দেখে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদেরকে চোখ থাকতে অন্ধ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করবোই। যারা চায়নি দেশের উন্নয়ন হোক এটা তাদের প্রতি আমার চ্যালেঞ্জ। নিজের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। আর সেটা তিনি বাস্তবায়ন করে দেখাবেন।

তিনি বলেন, যারা চায়নি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক, মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, শিক্ষা পাক, মাথা গোঁজার ঠাঁই পাক, তারা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

এ সময় নিজ এলাকার উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমার এলাকার কোনো উন্নয়ন যেন বাদ না যায়। কেথায় কী হচ্ছে সব আমি খোঁজ রাখি। আমার কাছে সব রাস্তাঘাটের আলাদা আলাদা ফাইল করা আছে। শুধু কোটালীপাড়া, টুঙ্গীপাড়া না- পুরো দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

আর এই উন্নয়নের শক্তি আপনারাই জুগিয়েছেন। আপনারাই আমার বড় শক্তি। আপনারা আছেন বলে আমি দেশের উন্নয়ন করে যেতে পারছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করে গেছেন। তার স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া আমার লক্ষ্য। আজকে দেশে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ। সেটাও যেন না থাকে সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। দেশের একজন মানুষও হতদরিদ্র থাকবে না।

কোটালীপাড়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: ফোকাস বাংলা

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকেরই ঘর-জমি ও জীবিকার ব্যবস্থা আমরা করতে পারব ইনশাল্লাহ। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে আমরা বৃত্তি দিচ্ছি। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের জন্য জাতির পিতা সংগ্রাম করে গেছেন। এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমি চাই।

তিনি আরও বলেন, যারা চায়নি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক, এ দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, চিকিৎসা পাক, শিক্ষা পাক তাদের কাছে আমার চ্যালেঞ্জ। আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা আমি পূরণ করবো। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সরকারপ্রধান বলেন, নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি, এসেছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু। অনেকেই মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আর এই শক্তিটা আপনারাই জুগিয়েছেন।

পদ্মা সেতু করতে নিজ নির্বাচনি এলাকার জনগণসহ দেশবাসী সাহস যুগিয়েছিল বলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের কিছু তো আছেই, যারা বাংলাদেশের কোনো ভালোই চোখে দেখে না। যারা দেখে না; চোখ থাকতে যারা অন্ধ, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। কাজেই এখন আর কিছু বলব না।

সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সবার হাতে মোবাইল ফোন, অনলাইন সেবা। এতগুলো টেলিভিশন দিয়ে দিয়েছি। সারাদিন কথাটথা বলে তারপরও বলে কিছুই বলতে পারি না? কথা বলার অধিকার নাই; এদের ব্যাপারে করুণা করা ছাড়া আর কিছু নাই। এটা আমরা করুণাই করি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে যারা দেশের ভালো কিছু চোখে দেখতে পায় না। যারা চোখ থাকতেও অন্ধ তাদেরকে কিছু বলার নেই। শুধু এতটুকুই বলব তারা চোখে দেখে না কিন্তু ঠিকই ভোগ করে। তাদের ব্যাপারে করুণা ছাড়া আর কিছু করার নেই এবং তাদের আমি করুণাই করি।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়ায় পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে এবং তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

কোটালীপাড়ায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি দুটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।