যাত্রীদের চাপে ও তীব্র গরমে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা পৃথক দুটি ফেরিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘাট ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে যাত্রী বোঝাই করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহ-পরান ছেড়ে আসে। বেলা সাড়ে ১১ টায় বাংলাবাজার ৩ নং ফেরি ঘাটে আসে। যাত্রীরা নেমে গেলে দেখা যায় আনচুর মাতুব্বর নামের ১৫ বছরের কিশোর ফেরিতেই মরে পড়ে আছে।
অন্যদিকে এনায়েতপুরী ফেরিতে তীব্র গরমে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।নিহতদের মধ্যে শাহ পরাণ ফেরিতে নিহত শিশুর পরিচয় পাওয়া গেছে।তার নাম আনছার মাদবর (১২)।। সে শরিয়তপুরের নড়িয়া নিবাসী। তার স্বজনেরা লাশ নিয়ে গেছে। বাকি নিহতদের পরিচয় খুঁজছে পুলিশ।
এদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও ২ জন মহিলা। এছাড়াও একই ফেরিতে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৭/৮ জন।
এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন।
মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমির হোসেন জানান, এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আটজনকে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ফেরিতে কোনও হুড়োহুড়ির কিছু ঘটেনি।
অতিরিক্ত গরমে তারা হিট স্ট্রোকে মারা গিয়ে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড়ে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। যাত্রীর চাপ গত চারদিনের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে।