নিজস্ব প্রতিবেদক :
যাত্রীদের জন্য আতঙ্কে পরিণত হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পাশের টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক। রাতের বেলায় প্রায়ই ঘটছে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা। কখনও যাত্রীবেশে, আবার কখনও বা বাস চালকের সহযোগিতায় ডাকাত দল বাসে উঠে ঘটাচ্ছে এসব অপকর্ম। ঈদ সামনে রেখে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে অপরাধী চক্র। পুলিশ বলছে- ঈদের কারণে এই রুটে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পরেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ কমপক্ষে ২৫টি জেলার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এলেঙ্গা থেকে মধুপুর পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটারের এই রুটের মধ্যে বন রয়েছে ১০ কিলোমিটার এলাকায়। রাত হলেই বেশিরভাগ এলাকায় পরিণত হয় ‘ভুতুড়ে’ পরিবেশ।
সড়কটিতে সম্প্রতি ঘটেছে বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা। গেলো ৩ মার্চ রাতে মাদারগঞ্জ পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় আহত হন ছয় জন। গত বছরের ২ আগস্ট এই সড়কটিতে বাস যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ২০১৬ ও ১৭ সালে এই রুটে বাস চালক ও হেলপারদের সহযোগিতায় ঘটে বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা।
যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদ সামনে রেখে রুটটিতে বেপরোয়া হয়ে উঠে ডাকাত-চক্র। পর্যাপ্ত সড়কবাতি ও পুলিশি চেক পোষ্টের অভাবে এমনটা ঘটে বলে মত তাদের।
পুলিশ অবশ্য বলছে, ঈদ সামনে রেখে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল বাড়ানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ডাকাতরাও কিন্তু আমাদের গতিবিধি লক্ষ করে থাকে, কোথায় কিভাবে কাজ করলে তাদের জন্য সুবিধা হবে। আমাদের জেলা পুলিশের চেকপোস্ট আছে থাকবে। যেহেতু একই জায়গায় একাধিক ঘটনা ঘটেছে, সেহেতু নিরাপত্তা বেষ্টনী আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে কী করণীয় সে বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব।
এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এই সড়কটিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সজাগ দৃষ্টি জরুরি বলে মনে করেন, এই রুটে চলাচলকারীরা।