সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে এবার যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক সম্পূর্ণ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গগামী যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গমুখী উভয় লেন বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
মহাসড়ক অবরোধ করায় শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
জানা গেছে, যমুনা সেতু দিয়ে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার ১৮ হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। তবে অবরোধের কারণে সড়কপথে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে এবং যাত্রী ও চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হোক। তারা আরও জানান, আন্দোলন ততদিন চলবে, যতদিন না তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়।
আন্দোলনরত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, আজ রেল ও সড়কপথ অবরোধের কথা ছিল। কিন্তু গতকাল উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করায় শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। তাই জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিয়েছি। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার কর্মসূচি চলছে।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে মহাসড়কে বসে পড়েন। তারা দুই লেনই বন্ধ করে দেওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় শিক্ষার্থীরা রেলপথ ব্লকেড করেন। এই কর্মসূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে, যার ফলে ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ট্রেন আটকা পড়েছিল।
গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বর্জনের মধ্য দিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েকদিন ধরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বগুড়ানগরবাড়ী মহাসড়কে অবরোধ, পথ নাটক, শেকল ভাঙার গান এবং প্রতীকী ক্লাস আয়োজন করা হয়।
এরপরও সাড়া না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মানববন্ধন ও রোববার মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়, যাতে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে এবং ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে নবীনবরণ ও সেমিনার করেছে।