Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যমুনা সেতুর ব্লকেড প্রত্যাহার, ঢাকা-উত্তরাঞ্চল যান চলাচল স্বাভাবিক

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক ব্লকেড প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এতে  সোয়া ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ব্লকেড কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।

এর আগে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গমুখী উভয় লেন বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ফলে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্লকেড প্রত্যাহারের পর ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গগামী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এতে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

অবরোধ তুলে নেওয়ার পর যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন যমুনা সেতু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ১১ টা ৫০ মিনিটে এসে মহাসড়কে বসে পড়েন। তারা উভয় লেনই বন্ধ করে দেওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সোয়া একটার দিকে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়।

আন্দোলনরত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, আজকে রেল ও সড়ক পথ অবরোধের কথা ছিল। কিন্তু গতকাল উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করায় সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। তাই জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিয়েছি। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছি। তবে মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিগগিরই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেব।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার নয় বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ৬ মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে পূণরায় আন্দোলন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার টানা ১৯দিন ধরে আন্দোলন চলছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

যমুনা সেতুর ব্লকেড প্রত্যাহার, ঢাকা-উত্তরাঞ্চল যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশের সময় : ০৪:০০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক ব্লকেড প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এতে  সোয়া ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ব্লকেড কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।

এর আগে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গমুখী উভয় লেন বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ফলে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্লকেড প্রত্যাহারের পর ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গগামী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এতে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

অবরোধ তুলে নেওয়ার পর যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন যমুনা সেতু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ১১ টা ৫০ মিনিটে এসে মহাসড়কে বসে পড়েন। তারা উভয় লেনই বন্ধ করে দেওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সোয়া একটার দিকে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়।

আন্দোলনরত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, আজকে রেল ও সড়ক পথ অবরোধের কথা ছিল। কিন্তু গতকাল উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করায় সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। তাই জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিয়েছি। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছি। তবে মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিগগিরই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেব।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার নয় বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ৬ মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে পূণরায় আন্দোলন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার টানা ১৯দিন ধরে আন্দোলন চলছে।