টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে দুই কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ এবং এর বিপরীত ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঈদযাত্রায় টাঙ্গাইলের মহাসড়কে বাড়ছে পরিবহনের সংখ্যা। এতে সেতুতে টোল আদায়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিতে রয়েছে। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পরিবহনগুলো চলাচল করছে স্বাভাবিক গতিতে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদে বাড়ি যেতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আর চালকরা বলছেন, আগের ভাড়া নিয়েই যাত্রী তুলছেন গাড়িতে।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা।
অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭টি যানবাহন পার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা। এর আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে সেতু দিয়ে ৪ হাজার ৫৩৩টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়েছে।
এতে ২৪ ঘণ্টায় বাস পারাপার হয়েছে ৮ হাজার ৩৩টি, মোটরসাইকেল ৩ হাজার ৮৬৭টি, ছোট পরিবহন ১০ হাজার ৫১৬টি ও ট্রাক পারাপার হয়েছে ১১ হাজার ৩৫০।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‘মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। আশা করছি ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে ৭ শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্বপালন করছেন। এরমধ্যে মোবাইল টিম ও মোটরসাইকেল টিম করছে। মহাসড়ককে চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মহাসড়কে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সেদিকে নজরদারি রয়েছে।’
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানীর সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশ ৬৫ কিলোমিটার। ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের ভিড়ে এই মহাসড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। প্রতিবছর ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন, যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি হয়। এ সড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে।