Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের লাশ তোলা হবে

  • সিলেট প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

ফাইল ছবি

সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হানের লাশ কবর থেকে তোলা হবে। তদন্তের জন্য পিবিআই লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করলে জেলা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান। বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে পিবিআই একটি দল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করেছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য নিহত রায়হান আহমদের লাশ কবর থেকে তোলার অনুমতি দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রায়হান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই বাতেন পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন এ আদেশ দেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে খুব শীঘ্রই রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।

উল্লেখ্য, রায়হান নামের ওই যুবককে বন্দরবাজার থানা পুলিশ গত শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে আটক করে। ওইদিন রাতে ফাঁড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। ভোরে অপরিচিত একটি মোবাইল থেকে ছেলের ফোন পায় রায়হানের বাবা। তাতে ওই ফাঁড়িতে তাকে আটকে রেখে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জানায় রায়হান। বাবাকে টাকা নিয়ে এসে তাকে উদ্ধারের অনুরোধও করে রায়হান। ছেলেকে বাঁচাতে ভোরে তার বাবা টাকা নিয়ে ওই ফাঁড়িতে গেলে তাকে জানানো হয় রায়হান এখন ঘুমাচ্ছে, সকাল ১০টার দিকে আসতে হবে।

আরও পড়ুন : সিলেটে নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু: ৪ পুলিশ বরখাস্ত

পরে সকালে এলে তাকে বলা হয় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে যেতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার ছেলে মারা গেছে। এরপর মৃত ছেলের শরীরে নির্যাতনের ভয়াবহ চিহ্ন দেখতে পান তিনি। রায়হানের হাতের নখগুলোও ওপড়ানো ছিল। পুলিশ এরপর দাবি করে রায়হানকে ছিনতাইকারী সন্দেহ করে জনতা গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

তবে সিটি করপোরেশনের ফুটেজে এর কোনও প্রমাণ মেলেনি। রবিবার সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকেলে ৩টার দিকে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

রায়হানকে পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনাটি রবিবার থেকেই গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। সোমবার এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলা দায়েরের পর এর তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের লাশ তোলা হবে

প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হানের লাশ কবর থেকে তোলা হবে। তদন্তের জন্য পিবিআই লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করলে জেলা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান। বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে পিবিআই একটি দল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করেছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য নিহত রায়হান আহমদের লাশ কবর থেকে তোলার অনুমতি দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রায়হান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই বাতেন পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন এ আদেশ দেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে খুব শীঘ্রই রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।

উল্লেখ্য, রায়হান নামের ওই যুবককে বন্দরবাজার থানা পুলিশ গত শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে আটক করে। ওইদিন রাতে ফাঁড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। ভোরে অপরিচিত একটি মোবাইল থেকে ছেলের ফোন পায় রায়হানের বাবা। তাতে ওই ফাঁড়িতে তাকে আটকে রেখে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জানায় রায়হান। বাবাকে টাকা নিয়ে এসে তাকে উদ্ধারের অনুরোধও করে রায়হান। ছেলেকে বাঁচাতে ভোরে তার বাবা টাকা নিয়ে ওই ফাঁড়িতে গেলে তাকে জানানো হয় রায়হান এখন ঘুমাচ্ছে, সকাল ১০টার দিকে আসতে হবে।

আরও পড়ুন : সিলেটে নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু: ৪ পুলিশ বরখাস্ত

পরে সকালে এলে তাকে বলা হয় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে যেতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার ছেলে মারা গেছে। এরপর মৃত ছেলের শরীরে নির্যাতনের ভয়াবহ চিহ্ন দেখতে পান তিনি। রায়হানের হাতের নখগুলোও ওপড়ানো ছিল। পুলিশ এরপর দাবি করে রায়হানকে ছিনতাইকারী সন্দেহ করে জনতা গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

তবে সিটি করপোরেশনের ফুটেজে এর কোনও প্রমাণ মেলেনি। রবিবার সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকেলে ৩টার দিকে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

রায়হানকে পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনাটি রবিবার থেকেই গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। সোমবার এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলা দায়েরের পর এর তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে।