Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৎস্য খাতে ভুর্তকি কমানোর পরামর্শ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভুর্তকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ওকোনজো-ইওয়েলা বাংলাদেশকে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেন। তিনি রফতানি ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ওষুধ এবং আইটি সেক্টরে গুরুত্ব দিতে বলেন।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দেন। তারা এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য খাতে খুব একটা ভর্তুকি দেয় না। বিষয়টি বিবেচনা করব।

ওকোনজো-ইওয়েলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ সক্রিয় করার বিষয়ে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, কয়েকটি বড় দেশের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ গত কয়েক বছর ধরে নিষ্ক্রিয়। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ তে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলবেন, তিনি (শেখ হাসিনা) এই ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ সক্রিয় করার বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

এসময় গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, এই সেক্টরে বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে জাপান, থাইল্যান্ড এবং মালদ্বীপ থেকে বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ইতোমধ্যে জাপান এবং মালদ্বীপের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এর আগে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন কাতারের শ্রম মন্ত্রী আলী বিন সামিক আল মারি।

আল বিন সামিক বলেন, তাদের দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশী জনশক্তি কাজ করছে। এসব জনশক্তির কাজে তারা সন্তুষ্ট।

কাতাদের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে তারা আগ্রহী। এ বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করবে।

এছাড়া একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস সোয়াব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

মৎস্য খাতে ভুর্তকি কমানোর পরামর্শ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার

প্রকাশের সময় : ০২:২২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভুর্তকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ওকোনজো-ইওয়েলা বাংলাদেশকে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেন। তিনি রফতানি ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ওষুধ এবং আইটি সেক্টরে গুরুত্ব দিতে বলেন।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দেন। তারা এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য খাতে খুব একটা ভর্তুকি দেয় না। বিষয়টি বিবেচনা করব।

ওকোনজো-ইওয়েলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ সক্রিয় করার বিষয়ে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, কয়েকটি বড় দেশের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ গত কয়েক বছর ধরে নিষ্ক্রিয়। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ তে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলবেন, তিনি (শেখ হাসিনা) এই ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ সক্রিয় করার বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

এসময় গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, এই সেক্টরে বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে জাপান, থাইল্যান্ড এবং মালদ্বীপ থেকে বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ইতোমধ্যে জাপান এবং মালদ্বীপের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এর আগে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন কাতারের শ্রম মন্ত্রী আলী বিন সামিক আল মারি।

আল বিন সামিক বলেন, তাদের দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশী জনশক্তি কাজ করছে। এসব জনশক্তির কাজে তারা সন্তুষ্ট।

কাতাদের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে তারা আগ্রহী। এ বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করবে।

এছাড়া একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস সোয়াব।