Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ম্যাক্সওয়েলের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দুটিই ছিল হাইস্কোরিং ম্যাচ। ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে উইন্ডিজদের ৩৪ রানে হারিয়েছে অজিরা।

এদিকে এই ম্যাচে শতক হাকিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতকা হাকিয়েছেন এই অজি তারকা। এর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ম্যাক্সওয়েলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। গত মাসেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পাঁচ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন রোহিত। ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যানকে ধরতে খুব বেশি সময় নিলেন না ম্যাক্সওয়েল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় তাদের পরেই আছেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় বিস্ফোরক এই ব্যাটারে শতক চারটি। তিনটি করে সেঞ্চুরি আছে চেক রিপাবলিকের সাবাউন দাভিজি, নিউ জিল্যান্ডের কলিন মানরো ও পাকিস্তানের বাবর আজমের।

টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় অজিরা।

২৪২ রানের লক্ষ্যে দলীয় ১১ রানেই ভেঙে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে উইন্ডিজ ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান জশ হ্যাজলউড। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলা শুরু করেন তিনি। তৃতীয় ওভার বোলিংয়ে আসা জেসন বেহেরনডর্ফের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ—টানা তিন বলে ছক্কার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পুরান। তাঁকে (পুরান) দেখাদেখি হাত খুলে মারতে থাকেন আরেক ওপেনার জনসন চার্লসও। ঝড় তুলতে থাকা চার্লস-পুরানের জুটি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে পুরানকে ফেরান স্পেনসার জনসন। ১০ বলে ৩ ছক্কায় ১৮ রান করেন পুরান।। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৪.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৪২ রান।

পুরান আউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে সাময়িক ধস নামে। ২ উইকেটে ৪২ রান থেকে ৫ উইকেটে ৬৩ রান হয়ে যায় উইন্ডিজদের ইনিংসে। যেখানে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল দেখেছেন দুই সতীর্থ চার্লস ও শারফেন রাদারফোর্ডের বিদায়। আন্দ্রে রাসেল যখন ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন উইন্ডিজের ইনিংসের পাশে ৬.৩ ওভার। ১৩.৩ ওভারে দরকার ১৭৯ রান, ওভারপ্রতি ১৩.২৬ রান। এমন পরিস্থিতিতে রাসেল ও পাওয়েল চার-ছক্কা মেরে যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভক্ত-সমর্থকদের আশা বাড়াচ্ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে ২৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রাসেল ও পাওয়েল। ১১ তম ওভারের চতুর্থ বলে রাসেলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টয়নিস। ১৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করেন রাসেল।

রাসেলের বিদায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১০.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১১০ রান। এরপর সপ্তম উইকেটে রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন পাওয়েল। এই জুটি গড়ার পথেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি করেন পাওয়েল। ১৬ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইন্ডিজ অধিনায়ক ফিফটির দেখা পেয়েছেন বেহেরনডর্ফকে ছক্কা মেরে। একই ওভারের চতুর্থ বলে শেফার্ডকে ফিরিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি ভাঙেন বেহেরনডর্ফ। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১৫.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান। রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবশ্য পেরে ওঠেনি উইন্ডিজ। ২০ ওভারে উইন্ডিজ করেছে ৯ উইকেটে ২০৭ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন পাওয়েল। ৩৬ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টয়নিস। এছাড়া জশ হ্যাজেলউড ও স্পেন্সার জনসন নেন দুটি করে উইকেট। দুই ইনিংস মিলে হয়েছে ৪৪৮ রান, যা অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামা অজিদের প্রথম ইনিংসের মূল কারিগর ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। ভারত বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া এই তারকা ব্যাটার এদিন নেমেছিলেন চার নম্বরে। এরপর রীতিমতো প্রলয়ঙ্করী ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০২তম ম্যাচ খেলতে নামা ম্যাক্সওয়েল পঞ্চম সেঞ্চুরি করেছেন। সমান সংখ্যক তিন অঙ্কের ইনিংস আছে আর একজনের। ১৫১ ম্যাচ খেলা রোহিতের নামের পাশেও রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতে দুজন এখন যৌথভাবে শীর্ষে আছেন।

মাত্র ৫৫ বল মোকাবিলায় ১২০ রানের অপরাজিত বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন অজি অলরাউন্ডার। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ চার ও ৮ ছক্কা। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করে তিনি সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৫০ বলে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ ১২ বলে ২৯ এবং টিম ডেভিড ১৪ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে স্বাগতিকরা ম্যাচ জয়ের বড় পুঁজি পেয়ে যায়। ক্যারিবীয়দের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন হোল্ডার। আলজারি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ড একটি করে শিকার ধরেন।

অস্ট্রেলিয়ার ৩৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৫ বলে ১২ চার ও ৮ ছক্কায় ১২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাঁচ সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় রোহিত শর্মার পাশে বসলেন ম্যাক্সওয়েল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ম্যাক্সওয়েলের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়

প্রকাশের সময় : ০৯:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দুটিই ছিল হাইস্কোরিং ম্যাচ। ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে উইন্ডিজদের ৩৪ রানে হারিয়েছে অজিরা।

এদিকে এই ম্যাচে শতক হাকিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতকা হাকিয়েছেন এই অজি তারকা। এর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ম্যাক্সওয়েলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। গত মাসেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পাঁচ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন রোহিত। ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যানকে ধরতে খুব বেশি সময় নিলেন না ম্যাক্সওয়েল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় তাদের পরেই আছেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় বিস্ফোরক এই ব্যাটারে শতক চারটি। তিনটি করে সেঞ্চুরি আছে চেক রিপাবলিকের সাবাউন দাভিজি, নিউ জিল্যান্ডের কলিন মানরো ও পাকিস্তানের বাবর আজমের।

টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় অজিরা।

২৪২ রানের লক্ষ্যে দলীয় ১১ রানেই ভেঙে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে উইন্ডিজ ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান জশ হ্যাজলউড। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলা শুরু করেন তিনি। তৃতীয় ওভার বোলিংয়ে আসা জেসন বেহেরনডর্ফের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ—টানা তিন বলে ছক্কার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পুরান। তাঁকে (পুরান) দেখাদেখি হাত খুলে মারতে থাকেন আরেক ওপেনার জনসন চার্লসও। ঝড় তুলতে থাকা চার্লস-পুরানের জুটি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে পুরানকে ফেরান স্পেনসার জনসন। ১০ বলে ৩ ছক্কায় ১৮ রান করেন পুরান।। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৪.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৪২ রান।

পুরান আউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে সাময়িক ধস নামে। ২ উইকেটে ৪২ রান থেকে ৫ উইকেটে ৬৩ রান হয়ে যায় উইন্ডিজদের ইনিংসে। যেখানে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল দেখেছেন দুই সতীর্থ চার্লস ও শারফেন রাদারফোর্ডের বিদায়। আন্দ্রে রাসেল যখন ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন উইন্ডিজের ইনিংসের পাশে ৬.৩ ওভার। ১৩.৩ ওভারে দরকার ১৭৯ রান, ওভারপ্রতি ১৩.২৬ রান। এমন পরিস্থিতিতে রাসেল ও পাওয়েল চার-ছক্কা মেরে যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভক্ত-সমর্থকদের আশা বাড়াচ্ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে ২৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রাসেল ও পাওয়েল। ১১ তম ওভারের চতুর্থ বলে রাসেলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টয়নিস। ১৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করেন রাসেল।

রাসেলের বিদায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১০.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১১০ রান। এরপর সপ্তম উইকেটে রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন পাওয়েল। এই জুটি গড়ার পথেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি করেন পাওয়েল। ১৬ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইন্ডিজ অধিনায়ক ফিফটির দেখা পেয়েছেন বেহেরনডর্ফকে ছক্কা মেরে। একই ওভারের চতুর্থ বলে শেফার্ডকে ফিরিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি ভাঙেন বেহেরনডর্ফ। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১৫.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান। রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবশ্য পেরে ওঠেনি উইন্ডিজ। ২০ ওভারে উইন্ডিজ করেছে ৯ উইকেটে ২০৭ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন পাওয়েল। ৩৬ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টয়নিস। এছাড়া জশ হ্যাজেলউড ও স্পেন্সার জনসন নেন দুটি করে উইকেট। দুই ইনিংস মিলে হয়েছে ৪৪৮ রান, যা অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামা অজিদের প্রথম ইনিংসের মূল কারিগর ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। ভারত বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া এই তারকা ব্যাটার এদিন নেমেছিলেন চার নম্বরে। এরপর রীতিমতো প্রলয়ঙ্করী ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০২তম ম্যাচ খেলতে নামা ম্যাক্সওয়েল পঞ্চম সেঞ্চুরি করেছেন। সমান সংখ্যক তিন অঙ্কের ইনিংস আছে আর একজনের। ১৫১ ম্যাচ খেলা রোহিতের নামের পাশেও রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতে দুজন এখন যৌথভাবে শীর্ষে আছেন।

মাত্র ৫৫ বল মোকাবিলায় ১২০ রানের অপরাজিত বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন অজি অলরাউন্ডার। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ চার ও ৮ ছক্কা। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করে তিনি সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৫০ বলে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ ১২ বলে ২৯ এবং টিম ডেভিড ১৪ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে স্বাগতিকরা ম্যাচ জয়ের বড় পুঁজি পেয়ে যায়। ক্যারিবীয়দের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন হোল্ডার। আলজারি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ড একটি করে শিকার ধরেন।

অস্ট্রেলিয়ার ৩৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৫ বলে ১২ চার ও ৮ ছক্কায় ১২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাঁচ সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় রোহিত শর্মার পাশে বসলেন ম্যাক্সওয়েল।