বিনোদন ডেস্ক :
ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর আত্মহত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসে ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপ বিগো লাইভ প্ল্যাটফর্ম। যেখানে বেশ সক্রিয় ছিলেন হিমু। নিষিদ্ধ এই প্ল্যাটফর্মে পছন্দের অভিনেত্রীকে দেখে অবাক হন ভক্ত-অনুরাগীরাও। কারণ বিগো অ্যাপে নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ব্যাবহারকারীরা।
হিমুর মৃত্যুর পর যখন বিগো লাইভ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে, তখনই দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার হয়- এই প্লার্টফর্মের সঙ্গে নাকি যুক্ত আছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
মৌসুমীকে নিয়ে এমন খবরে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানী। মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন করেন, মৌসুমী কবে বিগো লাইভ করেছে?
মঙ্গলবার (২১ সভেম্বর) সকালে অভিনেতা ওমর সানী ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন করেন, মৌসুমী কবে বিগো লাইভ করেছে? ওমর সানী বলেন, ‘কবে মৌসুমী বিগো লাইভ করছে? প্রমাণ দিতে হবে… স্টুপিড। তার কোনোদিন বিগো আইডি ছিল না।’
ওমর সানীরর এ পোস্টে একজন মন্তব্য করেন, আপনাদের দুজনকেই বিগোতে দেখছি, স্বীকার করছেন না কেন? এটা কি অসম্ভব কিছু?’ এ কথার পাল্টা উত্তরে ওমর সানী বলেন, ‘আপনি দেখেছেন টিকটকে এবং লাইকই অ্যাপসে, সেটা ভিগো লাইভ ছিল না, আপনি নিজেকে কারেকশন করুন আপা।
এ বিষয়ে ওমর সানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কারা এসব নিউজ করেছে, আমি তাদেরকে চিনি। শুধু এতটুকুই বলবো- তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না, এমন প্রশ্নে ওমর সানীর ভাষ্য, ‘না, কোনো পদক্ষেপ নেব না। সবকিছুই আল্লাহর উপর ছেড়ে দেব। যারা আমার স্ত্রীর মানহানি করেছেন, আল্লাহ তাদের বিচার করবেন।’
এদিকে নব্বই দশকে আনন্দবিচিত্রায় ফটোসুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন মৌসুমী। এরপর টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে তার। প্রথম সিনেমায় সবার প্রশংসা লাভ করেন মৌসুমী।
মৌসুমীর তিন দশকের অভিনয়জীবনে দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০৩ সালে ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ এবং ২০০৬ সালে ‘মেহের নিগার’ চলচ্চিত্র দুটি পরিচালনাও করেছেন মৌসুমী।
ওমর সানী ও মৌসুমী ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট বিয়ে করেন। এ জুটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আদর্শ তারকা দম্পতি বলেও পরিচিত। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান ফারদিন ও ফাইজাহ।