Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোহাম্মদপুরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান, আটক ৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ সময় অনিরাপদ সিলিন্ডার ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মে রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প, রিং রোড, তাজমহল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা ১১টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ম্যানেজার ও মালিকসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহারে সবাই বেশ উদাসীন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করা। কোথাও অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখা মাত্রই আইনগত ব্যবস্থাসহ তাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রহমান জানান, বেইলি রোডের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সারা দেশের মানুষ শোকে কাতর হয়ে পড়েছে। মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় যেন এমন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন ভবনে থাকা হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে আমরা দেখেছি এসব হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সবচেয়ে অসতর্ক এবং কোনো দুর্ঘটনায় তারা কীভাবে সামাল দেবে সেই সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর পুরো এলাকায় পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি। বিশেষ করে, সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার ও অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।

অভিযানের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজিল হক ভূঞা বলেন, ‘গতকাল সোমবার দুপুরের পর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মালিক ও ম্যানেজারসহ মোট ৩৫ জনকে আটক করেছি। পাশাপাশি এসব এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁর যথাযথ অনুমোদন রয়েছে কি না, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে কি না, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু টেকসই, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়গুলো যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই যেন সবাই সচেতন হয়। সেই বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। এবং যাদের হোটেল রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন নেই সেগুলোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করছি। হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকরা শৃঙ্খলায় না ফেরা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মোহাম্মদপুরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান, আটক ৩৫

প্রকাশের সময় : ০৩:২০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ সময় অনিরাপদ সিলিন্ডার ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মে রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প, রিং রোড, তাজমহল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা ১১টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ম্যানেজার ও মালিকসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহারে সবাই বেশ উদাসীন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করা। কোথাও অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখা মাত্রই আইনগত ব্যবস্থাসহ তাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রহমান জানান, বেইলি রোডের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সারা দেশের মানুষ শোকে কাতর হয়ে পড়েছে। মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় যেন এমন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন ভবনে থাকা হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে আমরা দেখেছি এসব হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সবচেয়ে অসতর্ক এবং কোনো দুর্ঘটনায় তারা কীভাবে সামাল দেবে সেই সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর পুরো এলাকায় পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি। বিশেষ করে, সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার ও অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।

অভিযানের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজিল হক ভূঞা বলেন, ‘গতকাল সোমবার দুপুরের পর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মালিক ও ম্যানেজারসহ মোট ৩৫ জনকে আটক করেছি। পাশাপাশি এসব এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁর যথাযথ অনুমোদন রয়েছে কি না, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে কি না, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু টেকসই, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়গুলো যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই যেন সবাই সচেতন হয়। সেই বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। এবং যাদের হোটেল রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন নেই সেগুলোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করছি। হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকরা শৃঙ্খলায় না ফেরা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’