Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সমর্থকদের উপস্থিতিতে গ্যালারি ফিরে পেল প্রাণ। দুই দল উপহার দিল উপভোগ্য লড়াই। শুরুতে গিয়ে মোহামেডান পাচ্ছিল দারুণ জয়ের ঘ্রাণ। শেষ দিকে সমতায় ফিরে ম্যাচ জমিয়ে তুলল বসুন্ধরা কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিংসের এগিয়ে যাওয়া গোল নিয়ে ছড়াল উত্তাপ। মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যাওয়ার পর মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা ফিরল মাঠে। এমন ঘটনাবহুল ম্যাচে জিতে ফেডারেশন কাপের মুকুট ফিরে পেল বসুন্ধরা কিংস।

ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে বুধবার (২২ মে) রোমাঞ্চকর ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে কিংস। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমানুয়েল সানডের গোলে কিংস পিছিয়ে পড়ার পর সমতা ফেরান মিগেল ফিগেইরা দামাশেনো। এরপর অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন বদলি মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন।

প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২টি ফেডারেশন কাপ জয়ী আবাহনীর পাশে বসার সুযোগ হাতছাড়া হলো মোহামেডানের। চলতি মৌসুমের স্বাধীনতা কাপের ফাইনালের মতো, কিংসের বিপক্ষে ফের একই ব্যবধানে হেরে ফেডারেশন কাপের মুকুট হারাল আলফাজ আহমেদের দল।

২০২০-২১ মৌসুমের পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা ফিরে পেল বসুন্ধরা কিংস। এ নিয়ে ঘরোয়া ফুটবলের ট্রেবল (স্বাধীনতা কাপ, ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ) জিতল তারা।

বলের নিয়ন্ত্রণে শুরু থেকে আধিপত্য করে বসুন্ধরা কিংস। তবে নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে সুযোগ পেলে পাল্টা জবাব দিচ্ছিল মোহামেডানও।

প্রথম ভালো আক্রমণের দেখা পেতে পার হয়ে যায় ২৫ মিনিট। রাকিব হোসেনের দারুণ থ্রু বলে দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তো টোকা দিয়েছিলেন, তবে এগিয়ে আসা গোলরক্ষক সুজন হোসেন কোনোমতো পা দিয়ে আটকান বল। হতাশ হতে হয় কিংসকে।

৩৬তম মিনিটে আবারও আক্রমণ শাণায় কিংস। এবার বাইলাইনের একটু ওপর থেকে রাকিবের কাটব্যাকে সোহেল রানা জুনিয়রের তাড়াহুড়ো করে নেওয়া শট থাকেনি লক্ষ্যে। একটু পর মিগেল দামাশেনোর বাঁকানো ফ্রি কিক ফেরান সুজন।

এরপর আড়মোড় ভেঙে জেগে ওঠে মোহামেডান। দারুণ সুযোগও তৈরি করে সাদাকালোরা, কিন্তু মেলেনি গোল। ৩৯ মিনিটে রেফারির আক্রমণে ওঠা সানডেকে বাজেভাবে ফাউল করেন আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখা বিশ্বনাথ ঘোষ। এ দফায় রেফারি জসীম আখতার কার্ড না দেখালে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মোহামেডানের ডাগআউট।

৪১তম মিনিটে মোজাফ্ফরভের পাস ধরে সুলেমানে দিয়াবাতেকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন এমানুয়েল সানডে। অধিনায়কের ফিরতি পাসে তার নেওয়া শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। একটু পর দিয়াবাতের কাছের পোস্টে নেওয়া শট আটকান গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

যোগ করা সময়ে বক্সে বলের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে দুই রাকিবের মধ্যে জিতে যান মোহামেডানের মিনহাজুর আবেদিন রাকিব। দারুণ চার্জের পর দ্রুত টোকায় বল বিপদমুক্ত করেন এই মিডফিল্ডার। গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

৪৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে আসা বল পেয়ে শরীর হাওয়ায় ভাসিয়ে সাইড ভলি করতে চেয়েছিলেন তপু বর্মন, কিন্তু বলের সাথে সংযোগ হয়নি কিংস ডিফেন্ডারের।

৫৯তম মিনিটে বক্সে শাহরিয়ার ইমন বল পেয়েছিলেন, কিন্তু প্রথম স্পর্শে ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারায় শট নিতে পারেননি তিনি। একটু পর মোহামেডানের এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট আটকান শ্রাবণ।

কিংসের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬২তম মিনিটে এগিয়ে যায় মোহামেডান। দারুণ ডজে বোবুরবেক ইয়ুলদাশভকে ছিটকে দিয়ে সোহেল রানাকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে বাম পায়ের শট জাল খুঁজে নেন এমানুয়েল সানডে। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি শ্রাবণ।

৬৭তম মিনিটে দামাশেনোর ফ্রি কিকে বোবুরবেক মাথা ছোঁয়াতে পারলে সমতায় ফিরতে পারত কিংস। কিন্তু বল বেরিয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মোহামেডান গোলরক্ষক সুজনের।

৭৭তম মিনিটে দোরিয়েলতনের শট কোনোমতো দুই পায়ে আটকে কিংসের হতাশা আরও বাড়ান সুজন। তিন মিনিট পর রবিনিয়োর দূরপাল্লার শট সুজনের গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফিরে। এরপরই পাল্টা আক্রমণে দিয়াবাতের শট শ্রাবণ পা বাড়িয়ে আটকে কিংসের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। ৮৪তম মিনিটে গোলমুখে বল পেয়েও সুজনের বরাবর মারেন রবিনিয়ো।

অবশেষে ৮৬তম মিনিটে দামাশেনোর একক প্রচেষ্টার গোলে ম্যাচে ফেরে কিংস। রাকিবকে কাটিয়ে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে আরও দুই জনকে পেছনে ফেলে নিখুঁত কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

যোগ করা সময়ে সানডের কাছের পোস্টে নেওয়া শট শ্রাবণ ফিরিয়ে দিলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

১০৪তম মিনিটে রবিনিয়োর দূরপাল্লার শট আঙুলের টোকায় কর্নার করে দেন সুজন। সেই কর্নার থেকেই এগিয়ে যায় কিংস। কর্নারে লাফিয়ে উঠে বল গ্লাভসে নিলেও জমাতে পারেননি সুজন; ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান তিনি, সামনে থাকা জাহিদ হোসেন টোকায় জালে বল জড়িয়ে দেন।

এই গোল নিয়েই উত্তাপ ছড়ায়। ফাউলের দাবি এবং তা না মানায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে যান। গ্যালারি থেকে কিংসের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে বোতল থেকে শুরু করে নানা কিছু নিক্ষেপ করতে থাকেন সমর্থকেরা। দুই কোচকেও দেখা যায় রেফারিদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলতে।

রিপ্লেতে দেখা যায়, সুজন লাফিয়ে ওঠার সময় বোবুরবেক ও দিয়াবাতেও কিছুটা লাফিয়ে উঠেছিলেন, সেসময় কিংস ডিফেন্ডারের হালকা পুশ ছিল দিয়াবাতের পিঠে, সুজনের সঙ্গে অবশ্য তার কোনো সংস্পর্শই ছিল না। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের শুরু হয় খেলা।

অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় অর্ধের শেষ দিকে ইমনের শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি মোহামেডানের।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস

প্রকাশের সময় : ১০:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সমর্থকদের উপস্থিতিতে গ্যালারি ফিরে পেল প্রাণ। দুই দল উপহার দিল উপভোগ্য লড়াই। শুরুতে গিয়ে মোহামেডান পাচ্ছিল দারুণ জয়ের ঘ্রাণ। শেষ দিকে সমতায় ফিরে ম্যাচ জমিয়ে তুলল বসুন্ধরা কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিংসের এগিয়ে যাওয়া গোল নিয়ে ছড়াল উত্তাপ। মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যাওয়ার পর মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা ফিরল মাঠে। এমন ঘটনাবহুল ম্যাচে জিতে ফেডারেশন কাপের মুকুট ফিরে পেল বসুন্ধরা কিংস।

ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে বুধবার (২২ মে) রোমাঞ্চকর ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে কিংস। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমানুয়েল সানডের গোলে কিংস পিছিয়ে পড়ার পর সমতা ফেরান মিগেল ফিগেইরা দামাশেনো। এরপর অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন বদলি মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন।

প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২টি ফেডারেশন কাপ জয়ী আবাহনীর পাশে বসার সুযোগ হাতছাড়া হলো মোহামেডানের। চলতি মৌসুমের স্বাধীনতা কাপের ফাইনালের মতো, কিংসের বিপক্ষে ফের একই ব্যবধানে হেরে ফেডারেশন কাপের মুকুট হারাল আলফাজ আহমেদের দল।

২০২০-২১ মৌসুমের পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা ফিরে পেল বসুন্ধরা কিংস। এ নিয়ে ঘরোয়া ফুটবলের ট্রেবল (স্বাধীনতা কাপ, ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ) জিতল তারা।

বলের নিয়ন্ত্রণে শুরু থেকে আধিপত্য করে বসুন্ধরা কিংস। তবে নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে সুযোগ পেলে পাল্টা জবাব দিচ্ছিল মোহামেডানও।

প্রথম ভালো আক্রমণের দেখা পেতে পার হয়ে যায় ২৫ মিনিট। রাকিব হোসেনের দারুণ থ্রু বলে দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তো টোকা দিয়েছিলেন, তবে এগিয়ে আসা গোলরক্ষক সুজন হোসেন কোনোমতো পা দিয়ে আটকান বল। হতাশ হতে হয় কিংসকে।

৩৬তম মিনিটে আবারও আক্রমণ শাণায় কিংস। এবার বাইলাইনের একটু ওপর থেকে রাকিবের কাটব্যাকে সোহেল রানা জুনিয়রের তাড়াহুড়ো করে নেওয়া শট থাকেনি লক্ষ্যে। একটু পর মিগেল দামাশেনোর বাঁকানো ফ্রি কিক ফেরান সুজন।

এরপর আড়মোড় ভেঙে জেগে ওঠে মোহামেডান। দারুণ সুযোগও তৈরি করে সাদাকালোরা, কিন্তু মেলেনি গোল। ৩৯ মিনিটে রেফারির আক্রমণে ওঠা সানডেকে বাজেভাবে ফাউল করেন আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখা বিশ্বনাথ ঘোষ। এ দফায় রেফারি জসীম আখতার কার্ড না দেখালে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মোহামেডানের ডাগআউট।

৪১তম মিনিটে মোজাফ্ফরভের পাস ধরে সুলেমানে দিয়াবাতেকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন এমানুয়েল সানডে। অধিনায়কের ফিরতি পাসে তার নেওয়া শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। একটু পর দিয়াবাতের কাছের পোস্টে নেওয়া শট আটকান গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

যোগ করা সময়ে বক্সে বলের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে দুই রাকিবের মধ্যে জিতে যান মোহামেডানের মিনহাজুর আবেদিন রাকিব। দারুণ চার্জের পর দ্রুত টোকায় বল বিপদমুক্ত করেন এই মিডফিল্ডার। গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

৪৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে আসা বল পেয়ে শরীর হাওয়ায় ভাসিয়ে সাইড ভলি করতে চেয়েছিলেন তপু বর্মন, কিন্তু বলের সাথে সংযোগ হয়নি কিংস ডিফেন্ডারের।

৫৯তম মিনিটে বক্সে শাহরিয়ার ইমন বল পেয়েছিলেন, কিন্তু প্রথম স্পর্শে ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারায় শট নিতে পারেননি তিনি। একটু পর মোহামেডানের এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট আটকান শ্রাবণ।

কিংসের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬২তম মিনিটে এগিয়ে যায় মোহামেডান। দারুণ ডজে বোবুরবেক ইয়ুলদাশভকে ছিটকে দিয়ে সোহেল রানাকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে বাম পায়ের শট জাল খুঁজে নেন এমানুয়েল সানডে। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি শ্রাবণ।

৬৭তম মিনিটে দামাশেনোর ফ্রি কিকে বোবুরবেক মাথা ছোঁয়াতে পারলে সমতায় ফিরতে পারত কিংস। কিন্তু বল বেরিয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মোহামেডান গোলরক্ষক সুজনের।

৭৭তম মিনিটে দোরিয়েলতনের শট কোনোমতো দুই পায়ে আটকে কিংসের হতাশা আরও বাড়ান সুজন। তিন মিনিট পর রবিনিয়োর দূরপাল্লার শট সুজনের গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফিরে। এরপরই পাল্টা আক্রমণে দিয়াবাতের শট শ্রাবণ পা বাড়িয়ে আটকে কিংসের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। ৮৪তম মিনিটে গোলমুখে বল পেয়েও সুজনের বরাবর মারেন রবিনিয়ো।

অবশেষে ৮৬তম মিনিটে দামাশেনোর একক প্রচেষ্টার গোলে ম্যাচে ফেরে কিংস। রাকিবকে কাটিয়ে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে আরও দুই জনকে পেছনে ফেলে নিখুঁত কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

যোগ করা সময়ে সানডের কাছের পোস্টে নেওয়া শট শ্রাবণ ফিরিয়ে দিলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

১০৪তম মিনিটে রবিনিয়োর দূরপাল্লার শট আঙুলের টোকায় কর্নার করে দেন সুজন। সেই কর্নার থেকেই এগিয়ে যায় কিংস। কর্নারে লাফিয়ে উঠে বল গ্লাভসে নিলেও জমাতে পারেননি সুজন; ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান তিনি, সামনে থাকা জাহিদ হোসেন টোকায় জালে বল জড়িয়ে দেন।

এই গোল নিয়েই উত্তাপ ছড়ায়। ফাউলের দাবি এবং তা না মানায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে যান। গ্যালারি থেকে কিংসের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে বোতল থেকে শুরু করে নানা কিছু নিক্ষেপ করতে থাকেন সমর্থকেরা। দুই কোচকেও দেখা যায় রেফারিদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলতে।

রিপ্লেতে দেখা যায়, সুজন লাফিয়ে ওঠার সময় বোবুরবেক ও দিয়াবাতেও কিছুটা লাফিয়ে উঠেছিলেন, সেসময় কিংস ডিফেন্ডারের হালকা পুশ ছিল দিয়াবাতের পিঠে, সুজনের সঙ্গে অবশ্য তার কোনো সংস্পর্শই ছিল না। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের শুরু হয় খেলা।

অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় অর্ধের শেষ দিকে ইমনের শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি মোহামেডানের।