স্পোর্টস ডেস্ক :
বিদেশি কোটায় যে জায়গায় সুযোগ মিলতে পারতো মোস্তাফিজুর রহমানের, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার অ্যানরিখ নরকিয়ার ওপর ভরসা করছে দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু নরকিয়া কি আসলেই যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারছেন? আগের ম্যাচে ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৩৯ রান। গুজরাট টাইটান্সের কাছে বড় ব্যবধানে হারে দিল্লি। মোস্তাফিজুর রহমানকে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছে প্রাইভেট বিমানে, কিন্তু খেলানো হয়নি একটি ম্যাচও। তার দলই বার বার হেরে চলেছে এবারের আসরে।
শুরুটা যেভাবে করেছিল রাজস্থান রয়্যালস, তাতে দুইশর বেশি রান প্রত্যাশা বাড়াবাড়ি ছিল না। দিল্লি ক্যাপিটালসের পেসারদের ব্যর্থতার দিনে স্পিনারদের মিতব্যয়ী বোলিংয়ে তাদের হতাশ হতে হয়েছিল। তবে দুইশ রানের টার্গেট ঠিক দিতে পেরেছে রাজস্থান এবং সেটাই জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। ব্যাটিং ব্যর্থতায় দিল্লি দেড়শও করতে পারেনি। তাতে টানা তিন ম্যাচই হেরে গেলো ডেভিড ওয়ার্নারের দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান করে রাজস্থান। জবাবে ৯ উইকেটে ১৪২ রানে থামে দিল্লি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইপিএল শুরু করা রাজস্থান এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো ৫৭ রানে। আগের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরেছিল তারা।
টস হেরে ফিল্ডিং নেওয়ার পর দিল্লির পেসার খলিল আহমেদ ও আনরিখ নর্কিয়ে শুরুতেই যেন চোখে সর্ষে ফুল দেখলেন। তাদের প্রথম দুই ওভারে রাজস্থানের স্কোরবোর্ডে ৩২ রান! সবগুলোই বাউন্ডারি থেকে। মানে প্রথম ১২ বলের আটটিই হয়েছে চার।
জস বাটলার ও যশস্বী জয়সাওয়ালের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভড়কে যায় দিল্লি। অক্ষর প্যাটেল পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়ে খেলেন তিনটি চার। নর্কিয়ের কিপ্টে বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে শেষে রাজস্থানের স্কোর বিনা উইকেটে ৬৮ রান। পরের ওভারে অক্ষরকে পরপর দুটি চার মেরে ২৫ বলে পঞ্চম আইপিএল ফিফটি মারেন যশস্বী। তাকে থামতে হয় নবম ওভারে। ৩১ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে ৬০ রান করে মুকেশ কুমারের হাতে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন।
অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন ৪ বল খেলে রানের খাতা না খুলে কুলদীপ যাদবের শিকার। কুলদীপ ও অক্ষরের স্পিনে রানের গতি কমতে থাকে। এরই মাঝে বাটলার ১৩তম ওভারে ছক্কা মেরে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন।
ডেথ ওভারে রানের ঘাটতি পুষিয়ে নেয় রাজস্থান। শেষের আগের ওভারে মুকেশের হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন বাটলার। ইংলিশ ব্যাটার ৫১ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে ৭৯ রান করেন। যশস্বী ও বাটলার বাদে শিমরন হেটমায়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ২১ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৩৯ রান তোলেন তিনি। দিল্লির পক্ষে মুকেশ সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে ট্রেন্ট বোল্টের পেস এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও যুজবেন্দ্র চাহালের স্পিনে নাকাল দিল্লি। প্রথম ওভারে পৃথ্বী শ ও মানিষ পান্ডেকে খালি হাতে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন বোল্ট। রাইলি রুসো তা হতে দেননি। তবে তিনি ফিরে গেছেন পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে।
৩৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দিল্লি স্বস্তি খুঁজে পায় ওয়ার্নার ও ললিত যাদবের ব্যাটে। ৬৪ রানের এই জুটি ভেঙে দেন বোল্ট। ললিত ২৪ বলে ৩৮ রানে থামেন।
এরপর ওয়ার্নার একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি করলেও সঙ্গ পাননি। তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ৫৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে ছিল ৭ চার। বাকি ৮ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
বোল্ট ও চাহাল তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি পান অশ্বিন।