Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোরেলগঞ্জে দেড় কিলোমিটার সড়ক বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌদ্দঘর বাদুরতলা হয়ে বিশারীঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ অভিমুখী দেড় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। বিভিন্ন স্থান থেকে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। একটি অংশে ফাটল ধরেছে, কোথাও ধসে পড়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি তাদের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলা সদরের সঙ্গে খাউলিয়া ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বাদুরতলা, বিশারীঘাটা, মধ্য-বিশারীঘাটা, ভাইজোড়া ও সীমান্তবর্তী খাউলিয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া, চালিতাবুনিয়াসহ সাত গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করছে।

১০ বছর পূর্বে সড়কটি পাকা করা হয়। গত দুই বছর ধরেই সড়কটির বেহাল দশা। চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সড়কের পাশেই ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ ছাড়াও বিশারীঘাটা বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে এ সড়ক ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানসহ শত শত যানবাহন চলাচল করছে। খানখন্দে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই।

পথচারী রুহুল শেখ, জব্বার হাওলাদার, রুস্তম আকন, বীরেন হালদার, কল্পনা রানীসহ কয়েকজন বলেন, দুবছর ধরে এ ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম ও রাতের বেলায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ভ্যানগাড়িতে মালামালসহ উপজেলা সদরে যেতে কয়েক জায়গায় নেমে গাড়ি ঠেলে তুলতে হয়। আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই ওই সড়ক দিয়ে যাওয়া আসা করি। অল্প একটু জায়গার জন্য আমাদের ভোগান্তির অন্ত নেই। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় এই দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, সড়ক দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যানবাহনে চলাচল করতে ভয় লাগে। হেঁটে স্কুলে যেতে অনেক সময় লাগে। মাঝে মাঝে কিংবা পরীক্ষা থাকলে যেতে দেরি হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় খানাখন্দে পানি জমে আরও বেহাল অবস্থা হয়ে যায়। তখন হেঁটে চলাও মুশকিল হয়ে পড়ে।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) শাহিন আজাদ বলেন, সড়কটি সংস্কারে বরাদ্দ হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে জানা নেই। দ্রুত সড়কের কাজ শুরু হলে জনসাধারণের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন মহোদয় ইতোমধ্যে সড়কটি পরিদর্শন করে পুনর্র্নিমাণে বরাদ্দ দিয়েছেন। দরপত্রের প্রক্রিয়া হয়েছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে। দুর্ভোগ লাঘবে তাৎক্ষণিক বরাদ্দ দেওয়ায় ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিশারীঘাটা বাজার ইউনিয়ন পরিষদ অভিমুখী আড়াই কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। শিগগির কাজটি শুরু করা হবে। কাজ শেষ হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে হাইওয়ে থানার ওসিসহ ৬ জনকে প্রত্যাহার

মোরেলগঞ্জে দেড় কিলোমিটার সড়ক বেহাল দশা

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌদ্দঘর বাদুরতলা হয়ে বিশারীঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ অভিমুখী দেড় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। বিভিন্ন স্থান থেকে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। একটি অংশে ফাটল ধরেছে, কোথাও ধসে পড়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি তাদের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলা সদরের সঙ্গে খাউলিয়া ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বাদুরতলা, বিশারীঘাটা, মধ্য-বিশারীঘাটা, ভাইজোড়া ও সীমান্তবর্তী খাউলিয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া, চালিতাবুনিয়াসহ সাত গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করছে।

১০ বছর পূর্বে সড়কটি পাকা করা হয়। গত দুই বছর ধরেই সড়কটির বেহাল দশা। চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সড়কের পাশেই ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ ছাড়াও বিশারীঘাটা বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে এ সড়ক ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানসহ শত শত যানবাহন চলাচল করছে। খানখন্দে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই।

পথচারী রুহুল শেখ, জব্বার হাওলাদার, রুস্তম আকন, বীরেন হালদার, কল্পনা রানীসহ কয়েকজন বলেন, দুবছর ধরে এ ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম ও রাতের বেলায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ভ্যানগাড়িতে মালামালসহ উপজেলা সদরে যেতে কয়েক জায়গায় নেমে গাড়ি ঠেলে তুলতে হয়। আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই ওই সড়ক দিয়ে যাওয়া আসা করি। অল্প একটু জায়গার জন্য আমাদের ভোগান্তির অন্ত নেই। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় এই দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, সড়ক দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যানবাহনে চলাচল করতে ভয় লাগে। হেঁটে স্কুলে যেতে অনেক সময় লাগে। মাঝে মাঝে কিংবা পরীক্ষা থাকলে যেতে দেরি হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় খানাখন্দে পানি জমে আরও বেহাল অবস্থা হয়ে যায়। তখন হেঁটে চলাও মুশকিল হয়ে পড়ে।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) শাহিন আজাদ বলেন, সড়কটি সংস্কারে বরাদ্দ হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে জানা নেই। দ্রুত সড়কের কাজ শুরু হলে জনসাধারণের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন মহোদয় ইতোমধ্যে সড়কটি পরিদর্শন করে পুনর্র্নিমাণে বরাদ্দ দিয়েছেন। দরপত্রের প্রক্রিয়া হয়েছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে। দুর্ভোগ লাঘবে তাৎক্ষণিক বরাদ্দ দেওয়ায় ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিশারীঘাটা বাজার ইউনিয়ন পরিষদ অভিমুখী আড়াই কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। শিগগির কাজটি শুরু করা হবে। কাজ শেষ হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।