বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুরে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নে আঞ্চলিক সড়কের ফুলবাড়ি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন এসব তথ্য দিয়েছেন।
নিহতরা হলেন– বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২০); শেরপুর পৌর শহরের গোসাইপাড়া এলাকার মৃত বাবলু ব্যাপারির ছেলে শাহাবুল হাসান (২০)। আহত হয়েছেন গোসাইপাড়া এলাকার উজ্জ্বল বিশ্বাসের ছেলে উৎসব বিশ্বাস (২০)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহাবুল হাসান মোটরসাইকেলে তার বন্ধু মেহেদী হাসান এবং উৎসব বিশ্বাসকে নিয়ে উপজেলার রামেশ^রপুর গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে পথে গাড়ীদহ ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কের ফুলবাড়ি বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। সড়কের পাশে একটি দোকানের শাটারে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এতে তিন বন্ধু আহত হন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত শাহাবুল ও মেহেদীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠান।
বগুড়ার সিলিমপুর মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লাল মিয়া জানান, শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহাবুল ও মেহেদী মারা যান। উৎসব বিশ্বাস প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত উৎসব বিশ্বাস জানান, শাহাবুল মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। তারা বন্ধু মেহেদীকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা তিন জনই সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন।
সোমবার সকালে শেরপুর থানার এসআই আমিরুল শিকদার জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত দুই বন্ধুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত এক বন্ধু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ ব্যাপারে থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে শাহাবুল হাসান তার ফেসবুকে পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে লেখা ছিল, ‘সাদা কাপড়, মাটির ঘর, বাসের ছাউনি।’ দুর্ঘটনার পর স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে মন্তব্য করেন, এ স্ট্যাটাস যেন তার মৃত্যুর পূর্বাভাস ছিল। তবে নিকটজনরা বলছেন, এটা ছিল শাহাবুলের স্বাভাবিক রসিকতার ভঙ্গি, যা এখন তাদের জন্য আরও বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি।
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি 























