Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মোখা’ মোকাবেলায় প্রস্তুত সরকার : দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ইস্যুতে সরকার সব দিক থেকেই প্রস্তুত। প্রতিবারের মতো ইনশাআল্লাহ, এবারও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে পারব। সেনা ও নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড প্রস্তুত আছে।

বুধবার (১০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এটা সুপার সাইক্লোন হবে, এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ১৩ মে রাত থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে এটি আঘাত হানতে পারে। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিনের নিচু এলাকায় আঘাত হানতে পারে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার একটা আশঙ্কা আছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা কয়েকদিন থেকেই শুনতে পাচ্ছিলাম যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে, যেটি বাংলাদেশে আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে। এখন এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অবস্থায় আছে। আগামীকালে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া বিভাগ এই পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের দেওয়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, এটি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূল থেকে এখনো গড়ে প্রায় এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি ১৩ মে নাগাদ উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেবে এবং কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমারের ওপর দিয়ে আঘাত হানবে। আঘাতের সময় এটির গতিবেগ ধারণা করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার। এই পূর্বাভাস অনুসারে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু রোহিঙ্গা নাগরিকরা টেকনাফে অবস্থান করছে, সেহেতু সেখানকার কমিশনারকে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকলীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাওয়ার জন্য ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট বিস্কুট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকালের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুধবারের তৃতীয় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কি.মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৩৫ কি.মি. দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

‘মোখা’ মোকাবেলায় প্রস্তুত সরকার : দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:১১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ইস্যুতে সরকার সব দিক থেকেই প্রস্তুত। প্রতিবারের মতো ইনশাআল্লাহ, এবারও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে পারব। সেনা ও নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড প্রস্তুত আছে।

বুধবার (১০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এটা সুপার সাইক্লোন হবে, এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ১৩ মে রাত থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে এটি আঘাত হানতে পারে। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিনের নিচু এলাকায় আঘাত হানতে পারে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার একটা আশঙ্কা আছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা কয়েকদিন থেকেই শুনতে পাচ্ছিলাম যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে, যেটি বাংলাদেশে আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে। এখন এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অবস্থায় আছে। আগামীকালে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া বিভাগ এই পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের দেওয়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, এটি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূল থেকে এখনো গড়ে প্রায় এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি ১৩ মে নাগাদ উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেবে এবং কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমারের ওপর দিয়ে আঘাত হানবে। আঘাতের সময় এটির গতিবেগ ধারণা করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার। এই পূর্বাভাস অনুসারে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু রোহিঙ্গা নাগরিকরা টেকনাফে অবস্থান করছে, সেহেতু সেখানকার কমিশনারকে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকলীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাওয়ার জন্য ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট বিস্কুট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকালের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুধবারের তৃতীয় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কি.মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৩৫ কি.মি. দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।