স্পোর্টস ডেস্ক :
বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির বিখ্যাত সেই ন্যাপকিন পেপারের নিলাম অবশেষে শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামস-এর মাধ্যমে হচ্ছে এই নিলাম। যার মূল্য তিন থেকে পাঁচ লাখ পাউন্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে মাস দুয়েক আগে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল নিলাম। অবশেষে সে সমস্যার সমাধান হয়েছে। লন্ডনে বুধবার শুরু হওয়া নিলামে ন্যাপকিন পেপারটির দাম উঠেছে দুই লাখ ২০ হাজার পাউন্ড। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত চলবে বিডিং।
এই নিলাম হওয়ার কথা ছিল আরও মাস দুয়েক আগে, গত মার্চে। তবে মালিকানা নিয়ে একটু দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় নিলাম স্থগিত হয়ে যায়। এই ন্যাপকিন পেপারটি এতদিন ছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল এজেন্ট হোরাসিও গাজ্জোলির কাছে। তবে নিলামের কথা শুরু মালিকানা দাবি আরেক আরেক এজেন্ট হোসে মারিয়া মিনগেলা।
নিলাম হাউস বোনহামস ফুটবল ওয়েবসাইট ইএসপিএনকে বলেছিল, ন্যাপকিন পেপার বিক্রির ক্ষেত্রে ‘কোনো সমস্যা নেই।’ তাদের ওয়েবসাইটে ‘হোরাসিও গাজ্জোলির সম্পত্তি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা আছে এটি।
মন্তব্যের জন্য ইএসপিএন-এর অনুরোধে সাড়া দেননি মিনগেলা। ১৩ বছর বয়সী মেসি কীভাবে ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, গল্পটা প্রায় সবার জানা। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।
এর পর থেকে সেই ন্যাপকিন পেপারটি গাজ্জোলির মালিকানাধীন হিসেবে অ্যান্ডোরার একটি ভোল্টে সুরক্ষিত ছিল। ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামস ন্যাপকিন পেপারটির নিলাম পরিচালনা করছে। এই নিলাম নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে। এটি গাজ্জেলির মালিকানাধীন হিসেবেই বিড করছে তারা।
সেই সময়ের বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত অবশ্য হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলেন। তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল ওই ন্যাপকিন পেপারে।
কোনো সন্দেহ ছাড়াই বার্সেলোনার সর্বকালের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। ক্লাবটির হয়ে ৭৭৮ ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেছেন এই তারকা। দুই দশকের ক্যারিয়ারে ১০টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন তিনি। ২০২১ সালে অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বার্সেলোনা ছাড়তে হয় তাকে। এরপর ফরাসি ক্লাব পিএসজি হয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলেন তিনি।