Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়াদ শেষ হলেও হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মেয়াদের সময় শেষ হওয়ার পরও প্রায় অর্ধেক বাকি মেহেরপুরের উজলপুর ব্রিজের নির্মাণকাজ। অবহেলা ছাড়াও পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদির অভাবে ঢিলেঢালাভাবে চলছে কাজ। প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলে এর নির্মাণ কবে যে শেষ হবে – সেটিই এখন প্রশ্ন। এদিকে দ্রুত কাজ শেষ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সময়ও বাড়িয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের ভৈরব নদের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। চলতি বছরের জুনে এটি শেষ হওয়ার কথা। অথচ এখনো বাকি রয়েছে প্রায় অর্ধেক কাজ। নদীর দুই পাশের গ্রাম ও কৃষিপণ্য বহনের জন্য ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঢিলেঢালা কাজে স্থানীয়দের মাঝে বেজায় অসন্তোষ।

লাভলু হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আশায় বসে আছি; কিন্তু সেতুটির কাজ আর শেষ হচ্ছে না। নদীর এক পাড়েই প্রায় ৫ হাজার মানুষ চাষাবাদ করে। সেতুটি না হওয়ায় উৎপাদিত ফসল আনা-নেয়াতে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে।

উজলপুর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল বলেন, ঠিকাদারের অবহেলায় ধীরগতিতে হচ্ছে ব্রিজটির নির্মাণকাজ। ব্রিজ তৈরির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও কম। তাছাড়া মিস্ত্রিরাও নিয়মিত কাজে আসেন না।

স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজ নির্মাণে রড, বালু ও সিমেন্ট পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত কাজটির বাস্তবায়ন চান তারা।

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কয়েকজন শ্রমিক জানান, মিস্ত্রির সংখ্যা কম এবং সরঞ্জামাদিরও কম।

কাজে ধীরগতির কারণের বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান – মেসার্স কামার জানি সুমনের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর কাজ করতে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় কাজে দেরি হচ্ছে।

ব্রিজটি দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন আলী বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজ শেষ না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯৭৫ মিটার চেইনেজে ৯৬.১০ মিটার পিএসসি গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যুক্তরাষ্ট্র গেলেন শাকিব খান

মেয়াদ শেষ হলেও হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ

প্রকাশের সময় : ০১:০৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মেয়াদের সময় শেষ হওয়ার পরও প্রায় অর্ধেক বাকি মেহেরপুরের উজলপুর ব্রিজের নির্মাণকাজ। অবহেলা ছাড়াও পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদির অভাবে ঢিলেঢালাভাবে চলছে কাজ। প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলে এর নির্মাণ কবে যে শেষ হবে – সেটিই এখন প্রশ্ন। এদিকে দ্রুত কাজ শেষ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সময়ও বাড়িয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের ভৈরব নদের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। চলতি বছরের জুনে এটি শেষ হওয়ার কথা। অথচ এখনো বাকি রয়েছে প্রায় অর্ধেক কাজ। নদীর দুই পাশের গ্রাম ও কৃষিপণ্য বহনের জন্য ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঢিলেঢালা কাজে স্থানীয়দের মাঝে বেজায় অসন্তোষ।

লাভলু হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আশায় বসে আছি; কিন্তু সেতুটির কাজ আর শেষ হচ্ছে না। নদীর এক পাড়েই প্রায় ৫ হাজার মানুষ চাষাবাদ করে। সেতুটি না হওয়ায় উৎপাদিত ফসল আনা-নেয়াতে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে।

উজলপুর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল বলেন, ঠিকাদারের অবহেলায় ধীরগতিতে হচ্ছে ব্রিজটির নির্মাণকাজ। ব্রিজ তৈরির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও কম। তাছাড়া মিস্ত্রিরাও নিয়মিত কাজে আসেন না।

স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজ নির্মাণে রড, বালু ও সিমেন্ট পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত কাজটির বাস্তবায়ন চান তারা।

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কয়েকজন শ্রমিক জানান, মিস্ত্রির সংখ্যা কম এবং সরঞ্জামাদিরও কম।

কাজে ধীরগতির কারণের বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান – মেসার্স কামার জানি সুমনের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর কাজ করতে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় কাজে দেরি হচ্ছে।

ব্রিজটি দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন আলী বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজ শেষ না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯৭৫ মিটার চেইনেজে ৯৬.১০ মিটার পিএসসি গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।