Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪৯ হাজার ১৯৪ জন। সেই হিসাবে পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।

পরীক্ষায় সর্বমোট পাসের মধ্যে ছেলে ২০ হাজার ৮১৩ জন ও পাসের হার ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ। মেয়ে পাস করেছেন ২৮ হাজার ৩৮১ জন ও পাসের হার ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন এক লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা শহরে পাঁচ কেন্দ্রের ১৮ ভেন্যুতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৪৩৬ জন। পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

জাহিদ মালেক জানান, শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপর ১২টা পর্যন্ত মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে সারাদেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজের ৫৭ ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়।

তিনি আরও জানান, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে ২০০ নম্বরসহ মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য চার হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি ও অ-উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে অবশিষ্ট আসনে ৮০ শতাংশ জাতীয় মেধায় ও ২০ শতাংশ জেলা কোটায় প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার জন্য দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি, সাংবাদিক ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি করা হয়। অভিজ্ঞ মেডিকেল শিক্ষকদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া নম্বর সমতাকরণের জন্য আলাদাভাবে কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্যরা দফায় দফায় নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার সব কাজ সম্পন্ন করেছেন।

উত্তীর্ণ বাকি শিক্ষার্থীরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারবেন। সারাদেশে ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এবার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মোট আসন রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭২টি।

যেভাবে ফল জানবেন

পরীক্ষার ফল তিনভাবে জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশের পরই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। আবেদন করার সময় দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে ফল জানতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা।

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪৯ হাজার ১৯৪ জন। সেই হিসাবে পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।

পরীক্ষায় সর্বমোট পাসের মধ্যে ছেলে ২০ হাজার ৮১৩ জন ও পাসের হার ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ। মেয়ে পাস করেছেন ২৮ হাজার ৩৮১ জন ও পাসের হার ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন এক লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা শহরে পাঁচ কেন্দ্রের ১৮ ভেন্যুতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৪৩৬ জন। পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

জাহিদ মালেক জানান, শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপর ১২টা পর্যন্ত মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে সারাদেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজের ৫৭ ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়।

তিনি আরও জানান, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে ২০০ নম্বরসহ মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য চার হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি ও অ-উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে অবশিষ্ট আসনে ৮০ শতাংশ জাতীয় মেধায় ও ২০ শতাংশ জেলা কোটায় প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার জন্য দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি, সাংবাদিক ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি করা হয়। অভিজ্ঞ মেডিকেল শিক্ষকদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া নম্বর সমতাকরণের জন্য আলাদাভাবে কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্যরা দফায় দফায় নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার সব কাজ সম্পন্ন করেছেন।

উত্তীর্ণ বাকি শিক্ষার্থীরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারবেন। সারাদেশে ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এবার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মোট আসন রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭২টি।

যেভাবে ফল জানবেন

পরীক্ষার ফল তিনভাবে জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশের পরই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। আবেদন করার সময় দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে ফল জানতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা।

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ উপস্থিত ছিলেন।