Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফলাফল স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফলাফল স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে এই ১৯৩ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার (২০ জনুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাস করা ১৯৩ জনের যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারির মধ্যে, সে পর্যন্ত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মেডিকেল কলেজ ২০২৪-২৫ সালের এম.বি.বি.এস. ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না।

এই কোটার অধীনে সংরক্ষিত ২৬৯টি আসনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৭৬টি আসন ইতোমধ্যেই মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে। এই কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯৩ জনের পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র, নিজের জন্মনিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় প্রমাণাদি ও একাডেমিক সার্টিফিকেট নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পুরাতন ভবনের দোতালায় অবস্থিত মেডিকেল এডুকেশন শাখায় উপস্থিত হয়ে যাচাই-বাছাই করাতে হবে। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ভর্তি বাতিল হবে এবং মেধা তালিকা থেকে সেই শূন্য আসন পূর্ণ করা হবে।

এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই ১৯৩ জনের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। অবশিষ্টদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ‘অযৌক্তিক’ কোটা ব্যবস্থা নিরসন ও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে পুনরায় তা প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে আজকের মধ্যে ফলাফল পুনঃপ্রকাশ না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়। এর দুদিন পর গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ২৬৯টি আসনের মধ্যে ১৯৩ জন পাস ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর তুলতে পেরেছেন। মুক্তিযোদ্ধার বাকি আসনগুলো মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে।

এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০।

সেই হিসাবে এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ছাত্র ২২ হাজার ১৫৯ জন, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় একজন সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফলাফল স্থগিত

প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফলাফল স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে এই ১৯৩ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার (২০ জনুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাস করা ১৯৩ জনের যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারির মধ্যে, সে পর্যন্ত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মেডিকেল কলেজ ২০২৪-২৫ সালের এম.বি.বি.এস. ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না।

এই কোটার অধীনে সংরক্ষিত ২৬৯টি আসনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৭৬টি আসন ইতোমধ্যেই মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে। এই কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯৩ জনের পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র, নিজের জন্মনিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় প্রমাণাদি ও একাডেমিক সার্টিফিকেট নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পুরাতন ভবনের দোতালায় অবস্থিত মেডিকেল এডুকেশন শাখায় উপস্থিত হয়ে যাচাই-বাছাই করাতে হবে। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ভর্তি বাতিল হবে এবং মেধা তালিকা থেকে সেই শূন্য আসন পূর্ণ করা হবে।

এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই ১৯৩ জনের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। অবশিষ্টদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ‘অযৌক্তিক’ কোটা ব্যবস্থা নিরসন ও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে পুনরায় তা প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে আজকের মধ্যে ফলাফল পুনঃপ্রকাশ না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়। এর দুদিন পর গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ২৬৯টি আসনের মধ্যে ১৯৩ জন পাস ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর তুলতে পেরেছেন। মুক্তিযোদ্ধার বাকি আসনগুলো মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে।

এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০।

সেই হিসাবে এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ছাত্র ২২ হাজার ১৫৯ জন, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় একজন সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।