Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেট্রোরেলের টিকিটে কর বসানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বসানোর প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ। কিন্তু ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিডেট বা মেট্রোরেল কোম্পানি এই ভ্যাট দিতে চায় না।

জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদী ভ্যাট আরোপের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (মেট্রোরেল কোম্পানি) চিঠি দেন। ওই চিঠিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কোচ হিসেবে মেট্রোরেল চলাচলকারী যাত্রীদের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা বলা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদী সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রোববার (১৯ মার্চ) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এনবিআর ভ্যাট নীতির সদস্য বরাবর সম্প্রতি পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে যাত্রী পরিবহনের সেবার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির এসি ও নন এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। বরং ১৫ শতাংশ মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। সে হিসেবে মেট্রোরেলের যাত্রী সেবার ক্ষেত্রেও ভ্যাট কর্তনের বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যার জবাব এখনও পাওয়া যায়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। এর পরের দিন থেকে যা নিয়মিত চলাচল করছে। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। যদিও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনও ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারেন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতা শিশুরা বিনা ভাড়ায় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারছেন। কিন্তু সবার জন্য মেট্রোরেল ও যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় এর সেবার ওপর এই মুহূর্তে কোনও ধরনের মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য নয়। এই অবস্থায় মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন সেবা থেকে ভ্যাট আদায়ে এনবিআরের দিক নির্দেশনা কামনা করা হয়েছে চিঠিতে।

গত ডিসেম্বরে প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে শেওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ ছাড়া সব স্টেশন চালু হয়েছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। ভ্যাট বসানো হলে মেট্রোরেলের টিকিটের দাম বাড়বে। খরচ বাড়বে যাত্রীদের। ৬০ টাকার টিকিটের দাম হবে ৬৯ টাকা।

বর্তমানে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করে। আগামী জুলাই থেকে পুরোদমে (সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত) মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে, এমন কথা রয়েছে। মতিঝিল পর্যন্ত চালু হলে উত্তরা থেকে ভাড়া হবে ১০০ টাকা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

মেট্রোরেলের টিকিটে কর বসানোর প্রস্তাব

প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বসানোর প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ। কিন্তু ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিডেট বা মেট্রোরেল কোম্পানি এই ভ্যাট দিতে চায় না।

জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদী ভ্যাট আরোপের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (মেট্রোরেল কোম্পানি) চিঠি দেন। ওই চিঠিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কোচ হিসেবে মেট্রোরেল চলাচলকারী যাত্রীদের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা বলা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদী সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রোববার (১৯ মার্চ) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এনবিআর ভ্যাট নীতির সদস্য বরাবর সম্প্রতি পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে যাত্রী পরিবহনের সেবার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির এসি ও নন এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। বরং ১৫ শতাংশ মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। সে হিসেবে মেট্রোরেলের যাত্রী সেবার ক্ষেত্রেও ভ্যাট কর্তনের বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যার জবাব এখনও পাওয়া যায়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। এর পরের দিন থেকে যা নিয়মিত চলাচল করছে। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। যদিও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনও ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারেন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতা শিশুরা বিনা ভাড়ায় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারছেন। কিন্তু সবার জন্য মেট্রোরেল ও যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় এর সেবার ওপর এই মুহূর্তে কোনও ধরনের মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য নয়। এই অবস্থায় মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন সেবা থেকে ভ্যাট আদায়ে এনবিআরের দিক নির্দেশনা কামনা করা হয়েছে চিঠিতে।

গত ডিসেম্বরে প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে শেওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ ছাড়া সব স্টেশন চালু হয়েছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। ভ্যাট বসানো হলে মেট্রোরেলের টিকিটের দাম বাড়বে। খরচ বাড়বে যাত্রীদের। ৬০ টাকার টিকিটের দাম হবে ৬৯ টাকা।

বর্তমানে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করে। আগামী জুলাই থেকে পুরোদমে (সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত) মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে, এমন কথা রয়েছে। মতিঝিল পর্যন্ত চালু হলে উত্তরা থেকে ভাড়া হবে ১০০ টাকা।