Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে সদরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় উত্তপ্ত মুন্সিগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

মুন্সীগঞ্জে সদরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আলাদা পাঁচটি টিম গঠন করে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আধার ইউনিয়নের সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামের এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ নারীসহ ৩ জন। স্বর্ণালঙ্কার নগদ টাকা ও গরু-ছাগল লুটে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভোক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের পরাজিত নৌকা সর্মথন করায় একই আসনের জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লব সর্মথকদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ তাদের।

আহতরা স্থানীয় রেনু বেগম (৫০), মাহফুজ (৫০) ও শাহানাজ (৫০)কে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনায় দুটি গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা জানান, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোলারচর ও বকুলতলা এলাকার লোকজন পরাজিত নৌকা ও জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্রে বিজয়ী মো. ফয়সাল বিপ্লবের কতিপয় সর্মথকরা হঠাৎ করে সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দেশী অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মাহবুব ভূইয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম জানান, তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ৫টি গরু, ৮টি ছাগল ও ১০ ভরি স্বর্ণলংকার লুট করে নেন। তাদের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়াও দুটি সিসি ক্যামেরা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বকুলতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ আমিন উদ্দিন সরকার মেয়ে পান্না বেগম বলেন, ভোরে কাঁচি সর্মথক আহাদুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়েছে। এ সময় তারা আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

মোদি দোকানী ক্ষতিগ্রস্ত লাবলু মোল্লা জানান, তার দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ দোকানের মালামাল লুটে নিয়েছে হামলাকারীরা। এতে তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল হাসান জানান, সকালে এলাকাটিতে গ্যাঞ্জামের খবর পেলে ফোর্স নিয়ে এলাকায় উপস্থিত হই। আমরা ৭টি ঘর ভাঙচুরের চিত্র দেখেছি। এলাকাটিতে ৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য। পূর্ব থেকে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কারওয়ান বাজার এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৩০

মুন্সীগঞ্জে সদরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় উত্তপ্ত মুন্সিগঞ্জ

প্রকাশের সময় : ০৯:১৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

মুন্সীগঞ্জে সদরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আলাদা পাঁচটি টিম গঠন করে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আধার ইউনিয়নের সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামের এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ নারীসহ ৩ জন। স্বর্ণালঙ্কার নগদ টাকা ও গরু-ছাগল লুটে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভোক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের পরাজিত নৌকা সর্মথন করায় একই আসনের জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লব সর্মথকদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ তাদের।

আহতরা স্থানীয় রেনু বেগম (৫০), মাহফুজ (৫০) ও শাহানাজ (৫০)কে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনায় দুটি গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা জানান, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোলারচর ও বকুলতলা এলাকার লোকজন পরাজিত নৌকা ও জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্রে বিজয়ী মো. ফয়সাল বিপ্লবের কতিপয় সর্মথকরা হঠাৎ করে সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দেশী অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মাহবুব ভূইয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম জানান, তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ৫টি গরু, ৮টি ছাগল ও ১০ ভরি স্বর্ণলংকার লুট করে নেন। তাদের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়াও দুটি সিসি ক্যামেরা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বকুলতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ আমিন উদ্দিন সরকার মেয়ে পান্না বেগম বলেন, ভোরে কাঁচি সর্মথক আহাদুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়েছে। এ সময় তারা আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

মোদি দোকানী ক্ষতিগ্রস্ত লাবলু মোল্লা জানান, তার দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ দোকানের মালামাল লুটে নিয়েছে হামলাকারীরা। এতে তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল হাসান জানান, সকালে এলাকাটিতে গ্যাঞ্জামের খবর পেলে ফোর্স নিয়ে এলাকায় উপস্থিত হই। আমরা ৭টি ঘর ভাঙচুরের চিত্র দেখেছি। এলাকাটিতে ৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য। পূর্ব থেকে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল।