মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুঁচিয়ামোড়া এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শাখা সড়কের ধলেশ্বরী-১ ও ধলেশ্বরী-২ সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলার পথ বেহাল হয়ে পড়েছে। সেতুর বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতু দিয়ে যানবাহন চলার পথ ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল, রিকশা ও অটোরিকশাচালকেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ছেন। প্রতিদিন হাজারো যানবাহন এ সেতু দিয়ে চলাচল করলেও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গিবাড়ী, সিরাজদিখান উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এই শাখা সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করেন।
পথচারী আব্দুল করিম বলেন, আমি প্রতিদিন এ পথে হাঁটাহাঁটি করি। সেতুর ওপর গর্ত এত বেশি হয়েছে যে গাড়ি হঠাৎ থেমে যায়। তখন পথচারীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে চলাফেরা করা খুব বিপজ্জনক হয়ে গেছে। দ্রুত এই সড়ক মেরামত করা খুব জরুরি।
মোটরসাইকেলচালক নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা বা আমার বাড়ি সিরাজদিখানে যেতে হয়। কিন্তু সেতুর গর্তগুলো এত বড় যে সামান্য অসাবধান হলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গত সপ্তাহেই এক মোটরসাইকেলচালক গর্তে পড়ে আঘাত পেয়েছিলেন। শুধু আমরা না, যাত্রীদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে আছে। তাই আমরা চাই অবিলম্বে সেতুটি মেরামত করা হোক।
রিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, রিকশা চালাতে যেমন কষ্ট পাই, যাত্রীরাও অসুবিধায় পড়ে। গর্তে পড়লেই রিকশা হঠাৎ দুলে যায়। অনেক সময় যাত্রীরা ভয় পেয়ে যায়। ভাড়া কম হলেও ঝুঁকি নিয়ে চালাতে হয়। প্রতিদিন এভাবে চলতে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা সড়ক বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, কিছুদিন আগেই ধলেশ্বরী-১ ও ধলেশ্বরী-২ সেতুর ভাঙা অংশগুলো ঢালাই করে মেরামত করা হয়েছিল। তবে ভারী যানবাহন চলাচল এবং বৃষ্টির কারণে আবারও কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম কেটে গেলে সেগুলো পুনরায় সংস্কার করা হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।