মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি সাজেদুল ইসলাম লালু ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এবং সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর বালুর মাঠ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন গজারিয়া উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে সাজেদুল হক লালু (৪৫), চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে শাকিল (২৭), একই গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন (৬৫) ও জসিম (৪৫)।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর রাতে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে টিকটক ভিডিও বানানোর কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জয় সরকার (২৫) নামের এক যুবককে। গ্রেপ্তার চারজনই ওই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক ছিলেন।
তাঁদের গ্রেপ্তারে র্যাব যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে র্যাব-৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী লালুকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শাকিলকে, কাঁচপুর বালুর মাঠ এলাকা থেকে আলাউদ্দিনকে এবং ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেফতার করে। বুধবার গভীর রাতে তাঁদের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, লালু গজারিয়া উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ অস্ত্র, মাদক, মারামারিসহ অন্তত ২৩টি মামলা রয়েছে। এই আসামিদের গ্রেফতারের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী লালু গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জয় সরকার হত্যা মামলার বাদী ও নিহত ব্যক্তির বোন জান্নাতি আক্তার এবং শুটার মান্নান হত্যা মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির স্ত্রী সুমী আক্তার।
এ বিষয়ে মান্নানের স্ত্রী সুমী আক্তার বলেন, ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর সন্ত্রাসী লালু আইনের আওতায় এসেছে। গত ২৮ জুলাই মান্নান হত্যাকাণ্ডের পর যদি তাকে তখনই গ্রেপ্তার করা হতো, তাহলে হয়তো সে আর কাউকে হত্যা করতে পারত না। আমি চাই, সে যেন জামিন না পায় এবং আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পায়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 





















