মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশর প্রথম সরকার। ৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের ধারাবাহিকতায় আজকের এই সরকার। যুদ্ধকালীন সরকারের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মুজিবনগরে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশের পূর্বে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কিছু অবজারভেশন আছে। তিনি কিছু মতামত ব্যক্ত করেছেন। এটা যাতে আন্তর্জাতিক মানের করা যায় সে ব্যাপারে তিনি বলেছেন। আমরা সর্বস্তরের অংশীদারদের নিয়ে সভা করেছি। জনপ্রশাসনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রকল্পটা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই একনেকে তোলা হবে। একনেকে অনুমোদন করার পর দ্রুতই কাজ শুরু হবে। আগামী ১৭ এপ্রিলের পূর্বেই মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই বাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কাউন্সিলে পাঠান। তারপর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়। যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকে সেটা কেউ অভিযোগ করলে বা মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে সেগুলো বাতিল করা হবে। প্রমাণ হওয়ায় ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে বাতিল করা হয়েছে। ভুয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমিসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।