Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুখে বললেও প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না আ.লীগ : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এই অভিযোগ করেন তিনি। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক ওই সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আওয়ামী লীগ এ জন্যই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিল তারা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে যখন কোনোদিকে সামাল দিতে পারছে না, এই সংবিধানকে তারাই কাটাছেঁড়া করেছে। তখন তাদের কর্মকাণ্ডে মানুষ শুধু খেপেই যাচ্ছে, খেপেই যাচ্ছে। এমনকি প্রকাশ্যে ঈদের ময়দানে গুলি করে আওয়ামী লীগের এমপিদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এটাই ইতিহাস। এই জিনিসগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা কলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন তারা ক্ষমতায় থাকবে, এটা কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক সংবিধান হতে পারে না। সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণ যদি মনে করে আমি এটাকে পরিবর্তন করব, তাহলে তারা পরিবর্তন করতে পারবে।

সরকার আবারও ‘ষড়যন্ত্রের নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে’ অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা যে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈরি করছে, আমরা সেই ফাঁদে আর পা দেবো না। দেশে আর কোনও ষড়যন্ত্রের নির্বাচন হবে না। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়েও যাও ধান, কিন্তু এবার আর হবে না।

আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারও ‘পুরনো ফাঁদ’ পেতেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আর ভয় পেলে চলবে না। আবারও আমাদের জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনর্প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তা না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারও পুরনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে, আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি। তারা দেশের মানুষকে বোকা ভাবছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না।

আওয়ামী লীগের নেতারা খুব সুন্দর-সুন্দর কথা বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা নাকি গণতন্ত্র এনেছে। এই হচ্ছে তাদের গণতন্ত্রের নমুনা। আবার তারা পাঁয়তারা করে নির্বাচন করার। বিশ্বকে দেখাবে, দেখো আমরা তো নির্বাচন দিয়েছি। এখন তারা কিন্তু আমাদেরকে (বিএনপিকে) সভা-সমাবেশে করতে বাধা দেয় না। ওটা আরেকটা শয়তানি। সমাবেশ করবে বাধা দেয় না। কিন্তু যখনি বলবো আমরা এখন বের হবো, মিছিল করবো, তখনি তারা আরেকটা সমাবেশ শুরু করে দেয়। তারা আমাদেরটাকে দেখিয়ে, পাশে আরেকটা শান্তির সমাবেশ করে।

তিনি আরও বলেন, তাদের শান্তির সমাবেশে কথা মনে হলে আমাদের ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়। পাকিস্তানিরা শান্তি কমিটি তৈরি করেছিলো। যারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করতো। সেভাবে তারা এই দেশে প্রতারণা করছে, মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। মানুষকে তারা মনে করছে এরা কিছুই বোঝে না। যা বোঝাবো তাই বুঝবে। সেই জায়গা থেকে আমরা উঠে এসেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমার দুঃখ এবং আনন্দ হয়, এতোগুলো টেলিভিশন ও পত্রিকা। কিন্তু কয়টা চ্যানেলে গণতন্ত্রের কথা বলে, কয়টা চ্যানেলে ভিন্নমতের কথা হয়। কয়টা পত্রিকায় ভিন্নমতের কথা বলা হয়। আমি এই বাংলাদেশে খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখতে পাই। একটা ভয়-ভীতি, ত্রাস আওয়ামী লীগ এমনভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে, আগে যারা কথা বলতো ভয়ে তারাও এখন কথা বলে না। তারা অনেকে এখন টকশোতে যায় না। পত্রিকায় লেখে না। কোন শব্দটার জন্য আবার ডিজিটাল অ্যাক্টে মামলা হয়। এখন সংবিধানকে কেটে ছিঁড়ে এমন এক পর্যায়ে আনছে, তিনটা অনুচ্ছেদ নিয়ে তো কথাই বলা যায় না। এটা কখনও গণতান্ত্রিক সংবিধান হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণ মনে করলে এই সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে। সেটাকে আওয়ামী লীগ বন্ধ করে দিয়েছে, জনগণকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, খুব কষ্ট হচ্ছে দেশের মানুষ এতো দ্রুত সন্তুষ্ট হয়ে গেছে। এতো ভীতু হয়ে গেছে, কেন ওই সব মানুষরা যারা সত্য কথা বলতে পারেন, তারা সোচ্চার হচ্ছেন না? কেন তারা বলছেন না, তুমি যা করছো অন্যায় করছো। জনগণের অধিকারকে তুমি কেড়ে নিয়েছো। ৭১ সালের যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, তার মূল বিষয়টাকে ধ্বংস করে দিয়েছো। তুমি স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট শাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছো। এটা কেউ বলছেন না। আমাদের বিএনপির লোকদের রাস্তার মধ্যে হত্যা করে, তখন মনে হয় তারা মানুষ না, বিএনপি। ওর পরিচয়টা বিএনপি, মানুষ না। কেন আপনারা বলেন না, এটা হত্যা হয়েছে। কেন সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ ঢুকিয়ে দিয়ে মেরে তাড়িয়ে দিলো। তথাকথিত সুশীল সমাজদের দেখলাম না, এটা নিয়ে কথা বলতে।

বিএনপি কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে, প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য? না। মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য।

জাগপার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএম শাওন সাদেকী, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দিনাজপুর জেলার সভাপতি রকিব চৌধুরী মুন্না, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি আসম মিসবাহ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা: আওলাদ হোসেন শিল্পী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ হুমায়ূন রশিদসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

মুখে বললেও প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না আ.লীগ : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এই অভিযোগ করেন তিনি। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক ওই সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আওয়ামী লীগ এ জন্যই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিল তারা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে যখন কোনোদিকে সামাল দিতে পারছে না, এই সংবিধানকে তারাই কাটাছেঁড়া করেছে। তখন তাদের কর্মকাণ্ডে মানুষ শুধু খেপেই যাচ্ছে, খেপেই যাচ্ছে। এমনকি প্রকাশ্যে ঈদের ময়দানে গুলি করে আওয়ামী লীগের এমপিদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এটাই ইতিহাস। এই জিনিসগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা কলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন তারা ক্ষমতায় থাকবে, এটা কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক সংবিধান হতে পারে না। সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণ যদি মনে করে আমি এটাকে পরিবর্তন করব, তাহলে তারা পরিবর্তন করতে পারবে।

সরকার আবারও ‘ষড়যন্ত্রের নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে’ অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা যে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈরি করছে, আমরা সেই ফাঁদে আর পা দেবো না। দেশে আর কোনও ষড়যন্ত্রের নির্বাচন হবে না। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়েও যাও ধান, কিন্তু এবার আর হবে না।

আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারও ‘পুরনো ফাঁদ’ পেতেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আর ভয় পেলে চলবে না। আবারও আমাদের জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনর্প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তা না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারও পুরনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে, আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি। তারা দেশের মানুষকে বোকা ভাবছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না।

আওয়ামী লীগের নেতারা খুব সুন্দর-সুন্দর কথা বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা নাকি গণতন্ত্র এনেছে। এই হচ্ছে তাদের গণতন্ত্রের নমুনা। আবার তারা পাঁয়তারা করে নির্বাচন করার। বিশ্বকে দেখাবে, দেখো আমরা তো নির্বাচন দিয়েছি। এখন তারা কিন্তু আমাদেরকে (বিএনপিকে) সভা-সমাবেশে করতে বাধা দেয় না। ওটা আরেকটা শয়তানি। সমাবেশ করবে বাধা দেয় না। কিন্তু যখনি বলবো আমরা এখন বের হবো, মিছিল করবো, তখনি তারা আরেকটা সমাবেশ শুরু করে দেয়। তারা আমাদেরটাকে দেখিয়ে, পাশে আরেকটা শান্তির সমাবেশ করে।

তিনি আরও বলেন, তাদের শান্তির সমাবেশে কথা মনে হলে আমাদের ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়। পাকিস্তানিরা শান্তি কমিটি তৈরি করেছিলো। যারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করতো। সেভাবে তারা এই দেশে প্রতারণা করছে, মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। মানুষকে তারা মনে করছে এরা কিছুই বোঝে না। যা বোঝাবো তাই বুঝবে। সেই জায়গা থেকে আমরা উঠে এসেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমার দুঃখ এবং আনন্দ হয়, এতোগুলো টেলিভিশন ও পত্রিকা। কিন্তু কয়টা চ্যানেলে গণতন্ত্রের কথা বলে, কয়টা চ্যানেলে ভিন্নমতের কথা হয়। কয়টা পত্রিকায় ভিন্নমতের কথা বলা হয়। আমি এই বাংলাদেশে খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখতে পাই। একটা ভয়-ভীতি, ত্রাস আওয়ামী লীগ এমনভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে, আগে যারা কথা বলতো ভয়ে তারাও এখন কথা বলে না। তারা অনেকে এখন টকশোতে যায় না। পত্রিকায় লেখে না। কোন শব্দটার জন্য আবার ডিজিটাল অ্যাক্টে মামলা হয়। এখন সংবিধানকে কেটে ছিঁড়ে এমন এক পর্যায়ে আনছে, তিনটা অনুচ্ছেদ নিয়ে তো কথাই বলা যায় না। এটা কখনও গণতান্ত্রিক সংবিধান হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণ মনে করলে এই সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে। সেটাকে আওয়ামী লীগ বন্ধ করে দিয়েছে, জনগণকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, খুব কষ্ট হচ্ছে দেশের মানুষ এতো দ্রুত সন্তুষ্ট হয়ে গেছে। এতো ভীতু হয়ে গেছে, কেন ওই সব মানুষরা যারা সত্য কথা বলতে পারেন, তারা সোচ্চার হচ্ছেন না? কেন তারা বলছেন না, তুমি যা করছো অন্যায় করছো। জনগণের অধিকারকে তুমি কেড়ে নিয়েছো। ৭১ সালের যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, তার মূল বিষয়টাকে ধ্বংস করে দিয়েছো। তুমি স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট শাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছো। এটা কেউ বলছেন না। আমাদের বিএনপির লোকদের রাস্তার মধ্যে হত্যা করে, তখন মনে হয় তারা মানুষ না, বিএনপি। ওর পরিচয়টা বিএনপি, মানুষ না। কেন আপনারা বলেন না, এটা হত্যা হয়েছে। কেন সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ ঢুকিয়ে দিয়ে মেরে তাড়িয়ে দিলো। তথাকথিত সুশীল সমাজদের দেখলাম না, এটা নিয়ে কথা বলতে।

বিএনপি কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে, প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য? না। মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য।

জাগপার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএম শাওন সাদেকী, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দিনাজপুর জেলার সভাপতি রকিব চৌধুরী মুন্না, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি আসম মিসবাহ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা: আওলাদ হোসেন শিল্পী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ হুমায়ূন রশিদসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।