Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদক গীতা মেহতা মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

খ্যাতিমান ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে তাঁর মৃত্যু হয়। গীতা মেহতার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ভারতের ওডিশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বড় বোন।

গীতা মেহতা ওড়িয়া নেতা বিজু পট্টনায়কের মেয়ে। ১৯৪৩ সালের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর পড়ালেখা করেছেন। ১৯৭০-৭১ সালে মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা তিনি বহুল প্রশংসিত তথ্যচিত্র ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ এ বর্ণনা করেছেন।

গীতা মেহতার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, ‘কারমা কোলা: মার্কেটিং দ্য মিস্টিং ইস্ট’, ‘স্নেকস অ্যান্ড ল্যাডার্স’, ‘আ রিভার সুত্রা’, ‘রাজ’ ও ‘দ্য ইটারনাল গনেশা’। ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এসব লেখনীর মাধ্যমেই গীতা মেহতা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

২০১৯ সালে রাজনৈতিক কারণে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে গীতা মেহতা সর্বশেষ খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছিলেন। সেই বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই পুরস্কার ভুল বার্তা দিতে পারে বলেও সেসময় উল্লেখ করেন তিনি। সেসময় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না।

গীতা মেহতা আরও বলেছিলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এমন সময়ে এই সম্মান মানুষের মাঝে ভুল বার্তা দিতে পারে, তাতে ভারত সরকার এবং আমি দুজনেই বিব্রত হব, যা আমার পক্ষে আরও বেশি দুঃখজনক।’

গীতা মেহতার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে মোদি বলেন, ‘প্রখ্যাত লেখিকা শ্রীমতি গীতা মেহতা জির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব। লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তাঁর জ্ঞান ও আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও অনুরাগী ছিলেন।’

১৯৪৩ সালে দিল্লিতে জন্ম। তাঁর বাবা ভারতীয় রাজনীতিক ও ওডিশার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েক এবং মা জ্ঞান পট্টনায়েক। গীতা মেহতা প্রথমে ভারতে, পরে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদক গীতা মেহতা মারা গেছেন

প্রকাশের সময় : ১১:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

খ্যাতিমান ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে তাঁর মৃত্যু হয়। গীতা মেহতার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ভারতের ওডিশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বড় বোন।

গীতা মেহতা ওড়িয়া নেতা বিজু পট্টনায়কের মেয়ে। ১৯৪৩ সালের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর পড়ালেখা করেছেন। ১৯৭০-৭১ সালে মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা তিনি বহুল প্রশংসিত তথ্যচিত্র ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ এ বর্ণনা করেছেন।

গীতা মেহতার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, ‘কারমা কোলা: মার্কেটিং দ্য মিস্টিং ইস্ট’, ‘স্নেকস অ্যান্ড ল্যাডার্স’, ‘আ রিভার সুত্রা’, ‘রাজ’ ও ‘দ্য ইটারনাল গনেশা’। ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এসব লেখনীর মাধ্যমেই গীতা মেহতা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

২০১৯ সালে রাজনৈতিক কারণে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে গীতা মেহতা সর্বশেষ খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছিলেন। সেই বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই পুরস্কার ভুল বার্তা দিতে পারে বলেও সেসময় উল্লেখ করেন তিনি। সেসময় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না।

গীতা মেহতা আরও বলেছিলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এমন সময়ে এই সম্মান মানুষের মাঝে ভুল বার্তা দিতে পারে, তাতে ভারত সরকার এবং আমি দুজনেই বিব্রত হব, যা আমার পক্ষে আরও বেশি দুঃখজনক।’

গীতা মেহতার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে মোদি বলেন, ‘প্রখ্যাত লেখিকা শ্রীমতি গীতা মেহতা জির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব। লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তাঁর জ্ঞান ও আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও অনুরাগী ছিলেন।’

১৯৪৩ সালে দিল্লিতে জন্ম। তাঁর বাবা ভারতীয় রাজনীতিক ও ওডিশার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েক এবং মা জ্ঞান পট্টনায়েক। গীতা মেহতা প্রথমে ভারতে, পরে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।