নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘরিয়াটোলা গোলাপ বিবি সড়কের এই বেহাল দশা কয়েক বছর ধরে। সড়ক জুড়ে ইট খোয়া উঠা বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। শুষ্ক মৌসুমে গাড়ি গেলে যেন ধুলাবালুর ঝড় ওঠে। এই বেহাল সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘরিয়াটোলা গোলাপ বিবি সড়কের দেড় কিলোমিটার সড়ক এবড়োথেবড়ো। সড়কের তিন ভাগের দুই অংশ ইট সলিংয়ের কাজ হলেও এক অংশ এখনো কাঁচা সড়ক। যতটুকু ইট সলিংয়ের কাজ করা হয়েছে তাও উঠে গিয়ে মেঠোপথে পরিণত হয়েছে।
এতে করে এই সড়ক দিয়ে তিনঘরিয়াটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহার চৌধুরী নুরিয়া মাদ্রাসা, হাসিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তিনঘরিয়াটোলা, হাসিমনগর, মধ্যম মুরাদপুর গ্রামের চলাচলকারী শত শত পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
স্থানীয় ফখরুল ইসলাম মিলন ও মীর হোসেন বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী চলাচলসহ কৃষকদের কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী নারীসহ রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই সড়ক দিয়ে যেতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, তিনঘরিয়াটোলা গোলাপ বিবি সড়ক ও বদিউর রহমান মেস্ত্রি সড়ক দুটি বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই ব্যাপারে বারবার আবেদন করেও সড়কের কাজের বাজেট পাইনি।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার বলেন, তিনঘরিয়াটোলা গোলাপ বিবি সড়কের কার্পেটিং কাজের বরাদ্দের জন্য এলজিইডি’র চীফ ইঞ্জিনিয়ার বরাবর এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। আশা করছি, তিন থেকে চার মাসের মধ্যে কার্পেটিং কাজ করা হবে।
এলজিইডির মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ সড়কটির কার্পেটিং কাজের জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে দ্রুত কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ নিরসন করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























