Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মির্জা ফখরুলদের দম ফুরিয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হাট ভেঙে গেছে, ফখরুলদের দম ফুরিয়ে গেছে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হলে আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নোবেল পেলে কেউ আইনের আওতায় আসবেন না এমন কোনো নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। তিনি শ্রমিকদের পাওনা দেন নি। সে কারনে তিনি আইনের আওতায় আসবেন। পৃথিবীর সব দেশে শ্রমিকদের জন্য আইন রয়েছে, আমাদের দেশেও আছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা নানা সময় নানা লোকের ওপর ভর করে। না জানি বিএনপি কখন কবিরাজদের দারস্থ হয়। সেটার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর দেশে অপপ্রচার চালাবেন না (বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে)। আসুন নির্বাচনে আসুন। আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। কারণ শেখ হাসিনা শ্রমিকের মজুরি এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে রিকশাচালক ভাইয়েরা দুপুর দুইটা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে এক হাজার, বারোশো, পনেরোশো টাকা আয় করেন। তারা অর্ধেক দিনের উপার্জন দিয়ে ২০ কেজি চাল কিনতে পারে।

তিনি বলেন, এক সময় আওয়ামী লীগ ও বাম দলগুলো শ্রমিকের এক দিনের মজুরী তিন কেজি চালের দামের সমান হওয়ার জন্য আন্দোলন করত। সে সময়ের পরিবর্তন হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি তাদের মিত্রদের নিয়ে দেশে আবার মানুষ পোড়াতে চায়, গাড়ি ভাঙচুর করতে চায়, এজন্য তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলছে। তারা মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দিতে চায়। সে কারণে আমরা সরকারি দল শান্তি সমাবেশে করছি।

তিনি বলেন, তারা ১০ ডিসেম্বর বলেছিল শেখ হাসিনার দিন শেষ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। সেদিন থেকে নাকি বিএনপি দেশ শাসন করবে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম?

তিনি আরও বলেন, ফখরুল সাহেব বললেন সরকার নাকি তাকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু যদি কেউ অপরাধ না করে তাহলে কেন সে গ্রেফতার হওয়ার কথা বলবে। আসলে তার মনে পুলিশ পুলিশ। নিশ্চয়ই তিনি কোনো যড়যন্ত্র বা অপরাধের সাথে জড়িত।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলব, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান, তাহলে বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ কিভাবে বদলে গেছে। এগুলো দেখে পাকিস্তানের গা জ্বলে। তাদের দোসর বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তারা বুঝে গেছে তারা জনগণের কাছে কি মুখে ভোট চাইবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আগামী নির্বাচন মানুষ ভোট দিয়ে চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, উপ ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক আমিনুক ইসলাম আমিনসহ মহানগর ও এর অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রিজ থাকলেও নেই রাস্তা, ভোগান্তি চরমে

মির্জা ফখরুলদের দম ফুরিয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:২০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হাট ভেঙে গেছে, ফখরুলদের দম ফুরিয়ে গেছে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হলে আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নোবেল পেলে কেউ আইনের আওতায় আসবেন না এমন কোনো নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। তিনি শ্রমিকদের পাওনা দেন নি। সে কারনে তিনি আইনের আওতায় আসবেন। পৃথিবীর সব দেশে শ্রমিকদের জন্য আইন রয়েছে, আমাদের দেশেও আছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা নানা সময় নানা লোকের ওপর ভর করে। না জানি বিএনপি কখন কবিরাজদের দারস্থ হয়। সেটার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর দেশে অপপ্রচার চালাবেন না (বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে)। আসুন নির্বাচনে আসুন। আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। কারণ শেখ হাসিনা শ্রমিকের মজুরি এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে রিকশাচালক ভাইয়েরা দুপুর দুইটা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে এক হাজার, বারোশো, পনেরোশো টাকা আয় করেন। তারা অর্ধেক দিনের উপার্জন দিয়ে ২০ কেজি চাল কিনতে পারে।

তিনি বলেন, এক সময় আওয়ামী লীগ ও বাম দলগুলো শ্রমিকের এক দিনের মজুরী তিন কেজি চালের দামের সমান হওয়ার জন্য আন্দোলন করত। সে সময়ের পরিবর্তন হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি তাদের মিত্রদের নিয়ে দেশে আবার মানুষ পোড়াতে চায়, গাড়ি ভাঙচুর করতে চায়, এজন্য তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলছে। তারা মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দিতে চায়। সে কারণে আমরা সরকারি দল শান্তি সমাবেশে করছি।

তিনি বলেন, তারা ১০ ডিসেম্বর বলেছিল শেখ হাসিনার দিন শেষ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। সেদিন থেকে নাকি বিএনপি দেশ শাসন করবে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম?

তিনি আরও বলেন, ফখরুল সাহেব বললেন সরকার নাকি তাকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু যদি কেউ অপরাধ না করে তাহলে কেন সে গ্রেফতার হওয়ার কথা বলবে। আসলে তার মনে পুলিশ পুলিশ। নিশ্চয়ই তিনি কোনো যড়যন্ত্র বা অপরাধের সাথে জড়িত।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলব, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান, তাহলে বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ কিভাবে বদলে গেছে। এগুলো দেখে পাকিস্তানের গা জ্বলে। তাদের দোসর বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তারা বুঝে গেছে তারা জনগণের কাছে কি মুখে ভোট চাইবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আগামী নির্বাচন মানুষ ভোট দিয়ে চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, উপ ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক আমিনুক ইসলাম আমিনসহ মহানগর ও এর অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।