নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ১০ দিন ও হাসান সরোওয়ার্দীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তিন জন গ্রেপ্তার আছে। এর মধ্যে মির্জা আব্বাসকে শাহজাহানপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইব। আর আলালকে পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে চাইব।
ডিবি প্রধান বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে তাণ্ডবের দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কথিত উপদেষ্টাকে দলীয় কার্যালয়ে হাজিরের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সারওয়ার্দীর আমরা ১০ দিনের রিমান্ড চাইব।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যারা এফআইআরভুক্ত আসামি তাদের দুইটা পথ খোলা আছে। হয় তারা আদালতে হাজির হবে, নয়তো আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করবে। যাদের নামে মামলা আছে, এটা তো আমাদের রুটিন কাজ। যাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকবে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
ডিবি প্রধান বলেন, আমরা জনগণের সেবা দিই আর সেই পুলিশ সদস্যকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। প্রায় ১০০ এর মতো পুলিশ সদস্য মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই মামলাগুলো যাদের নামে হয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারা আমাদের পুলিশের গায়ে হাত দিয়েছে, পুলিশের স্থাপনা ভাঙচুর করেছে, সেসব মামলার যারা আসামি তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে মির্জা আব্বাসকে শাহজাহানপুর ও আলালকে কাঁঠালবাগান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনই পুলিশ হত্যার ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
গত রোববার গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে যায় ডিবি। পরে তাকে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।