আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া বন্যায় আরও ৮৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার দৈনিকের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্যায় নাইপিদো, বাগো, মান্দালয় ও আইয়াওয়াদির ৬৪টি শহরতলির ৪৬২টি গ্রাম ও ওয়ার্ডসহ মন, কায়িন ও শান প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠ, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ট্রান্সফরমার, ৪৫৬টি ল্যাম্পপোস্ট ও ৬৫ হাজার ৭৫৯টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় নাইপিদোসহ বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পানীয় জল সরবরাহের জন্য অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহান্তে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ডসহ পুরো অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। এই চারটি দেশের সরকারি হিসাব, ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি ও একে কেন্দ্র করে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলেছিল, মৃতের সংখ্যা ৩৩। ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ৬৫ হাজারের বেশি বাড়ি ও পাঁচটি বাঁধ ধ্বংস হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলমান আছে।
এই বন্যার মধ্যেই মিন অং হ্লাইং ঘোষণা দিয়েছেন এই মাসেই জান্তা তার হারানো এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করবে। সেই লক্ষে বিমান হামলা বাড়িয়েছে তারা। এই বিমান হামলাগুলোতে বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি জান্তা সেনাসহ শতাধিক নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী তাদের এক প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে পাশের দেশ থাইল্যান্ডে বন্যার সময় আক্রান্ত থাই বিমান বাহিনী যখন আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলছে একই সময়ে জান্তা বাহিনী ফেলছে বোমা।