Dhaka শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল আশরোকি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

তিনি বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) রাত থেকে তুমুল যুদ্ধের মধ্যে কয়েকজন বিজিপি সদস্য প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের ঘুমধুম সীমান্ত বিওপিতে রাখা হয়েছে।

বিজিপি সদস্যদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছে জমা রাখা আছে বলেও জানান তিনি। বিজিবিরএই কমান্ডিং অফিসার বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার বিকাল থেকে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সেই গোলাগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি গুলি অটোরিকশায় এসে লাগে। এতে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অটোরিকশার সামনের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর রাতে বাড়ে লড়াইয়ের তীব্রতা। আজ ভোর রাত থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা।

গতকাল রাতে এই তুমুল সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে রকেট লান্সার এসে পড়েছে। এ ছাড়া ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে সংঘর্ষের ঘটনায় গোলা এসে পড়লে বাইশফাঁড়ি এলাকায় নুরুল কবীরের বাড়িতে আগুন ধরে যায়।

এরই মধ্যে আজ সকালে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে সীমান্তে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তার ডান হাতে গুলি লেগেছে।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ প্রবীর চন্দ্র ধর ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে

প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল আশরোকি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

তিনি বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) রাত থেকে তুমুল যুদ্ধের মধ্যে কয়েকজন বিজিপি সদস্য প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের ঘুমধুম সীমান্ত বিওপিতে রাখা হয়েছে।

বিজিপি সদস্যদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছে জমা রাখা আছে বলেও জানান তিনি। বিজিবিরএই কমান্ডিং অফিসার বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার বিকাল থেকে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সেই গোলাগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি গুলি অটোরিকশায় এসে লাগে। এতে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অটোরিকশার সামনের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর রাতে বাড়ে লড়াইয়ের তীব্রতা। আজ ভোর রাত থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা।

গতকাল রাতে এই তুমুল সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে রকেট লান্সার এসে পড়েছে। এ ছাড়া ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে সংঘর্ষের ঘটনায় গোলা এসে পড়লে বাইশফাঁড়ি এলাকায় নুরুল কবীরের বাড়িতে আগুন ধরে যায়।

এরই মধ্যে আজ সকালে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে সীমান্তে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তার ডান হাতে গুলি লেগেছে।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ প্রবীর চন্দ্র ধর ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা।